এসময় সরকারবিরোধী লিফলেট, কয়েকটি মোবাইল ফোন, শিবিরের কর্মী সহায়িকা ও চাঁদা আদায়ের রশিদ জব্দ করা হয়।
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) বিকেলে রাজশাহী জেলা পুলিশ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মো. শহীদুল্লাহ এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, আটক শিবির নেতা ইয়ামীন সরকার চারঘাট এলাকায় সংগঠকের দায়িত্বে আছেন। তিনি জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীদের একত্রিত করে সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে ও দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করতে বেশ কয়েকটি বৈঠক করেন। সোমবার (১৯ আগস্ট) রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তার বাড়িতে বৈঠকের সময় পুলিশ হানা দেয়। এসময় সেখান থেকে ইয়ামীন, ইউসুফ, সবুজ, মুরশিদুল, কুদ্দুস, সাদিয়া, ফাতিমা ও হাসিবুলকে আটক করা হয়। তাদের সবার গ্রামের বাড়ি চারঘাটের আস্করপুরে।
পুলিশ সুপার বলেন, আটক ব্যক্তিরা লিফলেট ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন গ্রুপ খুলে সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও দেশকে অশান্ত করতে উসকানিমূলক পোস্ট দিয়ে আসছিল। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। মঙ্গলবারই (২০ আগস্ট) আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হবে।
সংবাদ সম্মেলন শেষে স্কুলছাত্রী অপহরণ প্রশ্নে মো. শহিদুল্লাহ বলেন, রাজশাহীর দুর্গাপুরে অস্ত্রের মুখে অপহৃত দশম শ্রেণির ছাত্রীকে সোমবার (১৯ আগস্ট) সকালে উপজেলার পুরানতাহিরপুর স্কুলের সামনে থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। তবে, এ ঘটনায় কাউকে আটক করা যায়নি।
এটি প্রেমঘটিত ঘটনা কী না প্রশ্নে তিনি বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় স্কুলছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে তিন জনকে আসামি করে মামলা করেছেন। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০১৯
এসএস/একে