মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে জয়পুরহাট প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এমন দুর্নীতির অভিযোগ এনে সম্মেলন করেছে ক্ষতিগ্রস্ত মিল মালিকরা। আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মিলারদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মেসার্স শাহিন চালকলের মালিক আবুল হাসনাত।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, সদর উপজেলার ৮টি অটো রাইস মিল, ৫টি সেমি অটো রাইস মিল ও ১৩টি হাসকিং মিলের ক্যাপাসিটির ভুয়া কাগজপত্র দেখানো হয়েছে। এছাড়া অফিসে বসে ফাইলওয়ার্কের মাধ্যমে ক্যাপাসিটি ২ থেকে ৪ গুণ বাড়িয়ে শুধুমাত্র ২৬ জন মিলারকে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বাকী ৭৫ মিলারকে বঞ্চিত করা হয়েছে। বিশেষভাবে বরাদ্দ দেওয়া ২৬ জন মিলারের কাছ থেকে ক্যাপসিটি বাড়াতে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মনিরুল ইসলাম ও উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা আব্দুস সাত্তার প্রতি কেজি চালের জন্য দেড় টাকা থেকে দুই টাকা পর্যন্ত উৎকোচ নিয়েছেন।
চলতি মৌসুমে এই দুই কর্মকর্তা ৬ হাজার মে. টন চাল বরাদ্দের মাধ্যমে দেড় থেকে দুই কোটি টাকা বাণিজ্যের বিষয়ে ইতোমধ্যেই খাদ্যমন্ত্রী ও দুর্নীতি দমন কমিশনসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে বলেও লিখিত বক্তব্যে বলা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মিল মালিক আমান উল্লাহ আমান, হাম্মদ আলী ও বক্তার হোসেন প্রমুখ।
তবে এ বিষয়ে অভিযুক্ত জয়পুরহাট জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মনিরুল ইসলামের সঙ্গে দুপুরে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, আমরা ক্যাপাসিটি অনুযায়ী সবাইকে সরকারি বিধিমালা মোতাবেক বরাদ্দ দিয়েছি। এখানে উৎকোচ গ্রহণের মাধ্যমে কাউকে বেশি বরাদ্দ দেওয়া হয়নি এবং এসব অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২১ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০১৯
এসএইচ