ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৩০ মাঘ ১৪৩১, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৩ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

প্রণোদনাসহ চামড়া-চামড়াজাতপণ্য উন্নয়ন নীতিমালা অনুমোদন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩১ ঘণ্টা, আগস্ট ২৬, ২০১৯
প্রণোদনাসহ চামড়া-চামড়াজাতপণ্য উন্নয়ন নীতিমালা অনুমোদন

ঢাকা: সরবরাহকারী ও রপ্তানিকারকদের ঋণ সুবিধা বা প্রণোদনার সুযোগ রেখে ‘চামড়া এবং চামড়াজাতপণ্য উন্নয়ন নীতিমালা-২০১৯’ এর খসড়ার অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার (২৬ আগস্ট) মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।


 
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের এ সব তথ্য জানান।
 
চামড়া শিল্পের উন্নয়নের জন্য অর্থায়ন ও প্রণোদনার বিষয়টি নীতিমালায় রয়েছে বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব শফিউল আলম।

তিনি জানান, ‘চামড়া শিল্পের উন্নয়নের জন্য প্রাথমিকভাবে গবেষণা, প্রশিক্ষণ, যন্ত্রপাতি, পরিবেশ রক্ষা, অধিকতর পরিচ্ছন্ন উৎপাদন এবং অবকাঠামো বিষয়ক প্রকল্প গ্রহণ করা সমীচীন। রপ্তানি বাড়াতে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের মাধ্যমে বিনিয়োগ বাড়ানোর প্রক্রিয়া উন্নয়ন উন্নত করতে হবে। ’
 
সুনির্দিষ্ট কোনো প্রস্তাব আছে কিনা- প্রশ্নে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সরবরাহকারী ও রপ্তানিকারকদের জন্য কিছু প্রণোদনার বিষয় আছে। জেনারেলি প্রণোদনার ১৭টি প্রস্তাব দেওয়া আছে। যেমন- সবুজ প্রযুক্তির জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক হতে ঋণ আকর্ষণ করা এবং সেগুলো ফলপ্রসূ হবে ব্যবহার করা এবং খাত ভিত্তিক কর্মসূচির মাধ্যমে সক্রিয় ভূমিকা পালন করা।
 
‘বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে লোন পাওয়া যাবে। পরিবেশ সুরক্ষার জন্য একটি পুঁজি বাজার তৈরি করা এবং দেশি-বিদেশি মূলধন সংগ্রহের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা। পরিবেশগত কম্পালায়েন্সকে উৎসাহ দেওয়ার জন্য কম্পালায়েন্স কার্যক্রম গ্রহণকারী চামড়া শিল্প ট্যানারিগুলোকে অগ্রাধিকার ভিত্তিক প্রণোদণামূলক অর্থ দেওয়া। উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত প্রতিষ্ঠান যারা আরও পরিচ্ছন্ন উৎপাদনে আগ্রহী তাদের বিনিয়োগ প্রকল্পসমূহকে আর্থিক প্রণোদনা দেওয়া। ’ তবে ছোট ব্যবসায়ীর জন্য আলাদা করে কিছু বলা নাই।
 
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, উন্নত ও পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ব্যবহার করে উৎপাদন সক্ষমতা বাড়ানোর মাধ্যমে চামড়া ও চামড়াজাতপণ্য খাতকে প্রতিযোগিতায় সক্ষমকরণ; আন্তর্জাতিক মান সম্পন্ন ও প্রতিযোগিতা সক্ষম পণ্য উৎপাদনে ব্যবসা বান্ধব ও টেকসই পরিবেশ নিশ্চিতকরণ; দক্ষ ও কার্যকর শিল্পায়নের জন্য উন্নত অবকাঠামো নিশ্চিতকরণ; নতুন নতুন উদ্ভাবন ও ব্যবসায়িক উদ্যোগ ও উদ্যম অনুশীলন করার বিষয়ে উৎসাহ দেওয়া ও প্রতিপালনসহ নীতিমালায় নয়টি উদ্দেশ্য বলে দেওয়া হয়েছে।
 
চামড়া শিল্পখাতের টেকসই ও পরিবেশ বান্ধব ব্যবস্থা পরিপালন, পরিচ্ছন্ন উৎপাদন নিশ্চিতকরণ, ফরোয়ার্ড ও ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ তৈরির জন্য দুই ধরণের কমিটির কথা বলা হয়েছে।
 
‘চামড়া ও চামড়াজাতপণ্য উন্নয়ন নীতিমালা সমন্বয়ক পরিষদে’ শিল্পমন্ত্রীর নেতৃত্বে ৪১ সদস্যের কমিটি এবং চামড়া ও চামড়াজাতপণ্য উন্নয়ন নীতিমালা বাস্তবায়ন পরিষদে ২০ সদস্যের কমিটির প্রধান শিল্প সচিব। দুই জায়গাতেই সরকারি ও বেসরকারি খাতের লোক আছেন। ’
 
নীতিমালার মূল ফোকাস হলো, চামড়া শিল্প দ্বিতীয় বৃহত্তম বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী খাত। আমাদের টার্গেট ২০২৪ সাল নাগাদ এ খাত থেকে পাঁচ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে, এটা যেন আমরা অর্জন করতে পারি। মোটামুটিভাবে বিনিয়োগবান্ধব একটা প্রস্তাবনা রাখা হয়েছে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৬, ২০১৯
এমআইএইচ/আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।