এ ঘটনায় রোববার (২৫ আগস্ট) সন্ধ্যায় ভুক্তভোগী মেয়েটি থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
জানা যায়, ২০১৩ সালে এসএসসি পরীক্ষা দেওয়ার সময় গৃহশিক্ষক ছিলেন উকিল মিয়া।
এই ভিডিওকে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে গত ৪ বছর ধরে তাকে ধর্ষণ করে আসছেন বকশীগঞ্জ উপজেলার নিলক্ষিয়া ইউনিয়নের পাগলাপাড়া গ্রামের আবুল হাসেমের ছেলে উকিল মিয়া। ঘটনা এখানেই শেষ নয় ভিডিও ও ছবির পাশাপাশি সর্বশেষ ৩ লাখ টাকাও দাবি করেন ধর্ষক উকিল মিয়া।
এর আগে এই ভিডিও ও ছবি ব্যবহার করে পর্যায়ক্রমে আরও ২ লক্ষাধীক টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ করে নির্যাতিতা ওই কলেজছাত্রী।
বকশীগঞ্জ কিয়ামত উল্লাহ কলেজের বিএ ৩য় বর্ষে অধ্যায়নরত ছাত্রী জানান, প্রথমে তিনি আমাকে প্রাইভেট পড়াতেন। পরবর্তীতে তিনি বিয়ের প্রলোভনে আমাকে ধর্ষণ করে তার ভিডিও এবং ছবি তুলে রাখেন। আমি সামাজিক ও পারিবারিক সম্মানের কথা চিন্তা করে কাউকে কিছু বলিনি।
ধর্ষকের হাত থেকে বাঁচতে ইতোমধ্যেই পর্যায়ক্রমে প্রায় ২ লাখ টাকাও তুলে দেই কিন্তু সেটাতেও তিনি ক্ষান্ত হননি। এখন আমার পরিবারের কাছ থেকে আরও ৩ লাখ টাকা দাবি করেছেন।
বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম মাহাবুবুল আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে জানান, ধর্ষক উকিল মিয়াকে ধরতে পুলিশ সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২৬, ২০১৯
আরএ