জানা যায়, কুষ্টিয়ার রেললাইনের স্লিপার নষ্ট, নাটবল্টু নেই অনেক জায়গায়। বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও তারা গ্রাহ্য করেনি।
শিশুদের মুখে বিষয়টি শুনে জিলানী মণ্ডল ঘটনাস্থলে গিয়ে দ্রুত বাড়ি থেকে লাল কাপড় আনতে বলেন। এরপর জিলানী মণ্ডল রেললাইনের উপরে লাল কাপড় দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে নির্দেশনা দেন।
এর কিছু সময় পরেই মিরপুর থেকে খুলনা অভিমুখী একটি মালবাহী ট্রেনকে লাল কাপড় দেখিয়ে ট্রেনের ড্রাইভারকে থামার নির্দেশ দেন জিলানী মণ্ডল। ট্রেনটি থামার পর ড্রাইভার নেমে ক্ষতিগ্রস্ত রেললাইন দেখে বিস্মিত হন ও জিলানী মণ্ডলসহ উপস্থিত বাচ্চাদের ধন্যবাদ জানান।
সাবেক ইউপি সদস্য জিলানী মণ্ডল বাংলানিউজকে বলেন, বাচ্চাদের কথায় ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখতে পাই রেললাইন অনেকটা ভেঙে গেছে। এজন্য আমি বাচ্চাদের বাড়ি থেকে লাল কাপড় আনতে বলি এবং একটি মালগাড়িকে থামায়। পরে ড্রাইভার দেখে শুনে খুবই সতর্কতার সঙ্গে চলে যায়। জোরে গেলে হয়তো বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারতো।
পাকশী রেলওয়ে বিভাগীয় প্রকৌশলী-১ মনিরুজ্জামান মনির বাংলানিউজকে বলেন, মিরপুর-পোড়াদহ স্টেশনের মাঝামাঝি রেললাইন অনেক পুরাতন হওয়ায় একস্থানে স্লিপার হালকা সরে যায়। বিষয়টি আমাদের নজরে আসার পরে আমরা লোক পাঠিয়ে দেখি সেটা খুবই সামান্য। তারপরও খুব সাবধানে আমরা মালবাহী ট্রেনটিকে বিপদজনক স্থানটি অতিক্রম করায় এবং সেই সঙ্গে ঘটনাস্থলটি সংস্কার করি। এ ঘটনায় কোনো ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় বা কোনো ট্রেনকে দেরি করতে হয়নি।
এদিকে স্থানীয়দের অভিযোগ রেললাইনের স্লিপারগুলো অনেক পুরাতন হয়ে গেছে। সেই সঙ্গে নাটবল্টুও খুলে গেছে। একটা নাট আছে তো দুইটাই নেই। এভাবেই দিনের পর দিন ঝুঁকি নিয়ে ট্রেন চলাচল করে। কর্তৃপক্ষ প্রায়ই মেরামত করে তবে তেমনই থেকে যায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৬ ঘণ্টা, আগস্ট ২৬, ২০১৯
এনটি