সোমবার (২৬ আগস্ট) সচিবালয়ে অর্থবিভাগ এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ কর্মকর্তা-কর্মচারী কল্যাণ সমিতি আয়োজিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদতবার্ষিকী বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু অতি অল্প দিনে আমাদের দিয়েছেন একটি সংবিধান।
তিনি বলেন, আমেরিকার মায়েরা তাদের সন্তানদের কোলে নিয়ে বলেন, বাবা তুমি বড় হয়ে জর্জ ওয়াশিংটন হবে, দক্ষিণ আফ্রিকার মায়েরা বলেন, বাবা তুমি বড় হয়ে নেলসন ম্যান্ডেলা হবে। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য যে, আমাদের মায়েরা বলতে পারেন না যে তুমি বড় হয়ে বঙ্গবন্ধু হবে। কারণ কুচক্রীরা আমাদের সেই জায়গাটাতে পৌঁছাতে দেয়নি। কিন্তু তারা জানে না, জাতির পিতাকে কখনও জাতির কাছ থেকে দূরে রাখা যায় না। বঙ্গবন্ধুকে আমাদের কাছ থেকে দূরে সরিয়ে রাখা যাবে না। তিনি আছেন। তিনি থাকবেন।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও বাঙালির সবচেয়ে হৃদয়বিদারক ও শোকের দিন ১৫ আগস্ট। প্রতি বছর দিনটি আসে বাঙালির হৃদয়ে শোক আর কষ্টের দীর্ঘশ্বাস হয়ে। ইতিহাসের বেদনাবিধুর ও বিভীষিকাময় একটি দিন। ১৯৭৫ সালের এ দিনে সংঘটিত হয়েছিল ইতিহাসের এক কলঙ্কিত অধ্যয়। সেদিন স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করেছিল একটি কুচক্রী মহল। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি নাম, একটি ইতিহাস। তিনি জীবনের বিনিময়ে বাঙালি জাতির জন্য রচনা করেন ইতিহাসের এক নতুন অধ্যায়। পৃথিবীতে কোনো জাতিই মাত্র নয় মাসে স্বাধীনতা লাভ করতে পারেনি। বঙ্গবন্ধুর এক তেজোদীপ্ত ভাষণেই উদ্বুদ্ধ হয়ে গোটা জাতি বহু কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনে। বঙ্গবন্ধু ছিলেন স্বভাবনেতা।
মুস্তফা কামাল বলেন, এক সময় আমাদের দেশের অনেকেই বিদেশে নিজেদের পরিচয় দিতো না। বলতো, আমরা ভারতের। কারণ তখন আমাদের পরিচয় ছিল না, আমরা ভিক্ষুক বা মিসকিন। আজকে আমাদের সে পরিচয় আর নেই। জাতির পিতার রেখে যাওয়া নির্দেশনাগুলো বাস্তবায়নেই এটা সম্ভব হয়েছে।
অর্থবিভাগ এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ কর্মকর্তা-কর্মচারী কল্যাণ সমিতির সভাপতি এনামুল হকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব আসাদুল ইসলাম, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগেরর সচিব মনোয়ার আহমেদ এবং অর্থ বিভাগের সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৬, ২০১৯
জিসিজি/টিএ