পরে অনেক চেষ্টায় সোমবার বিকেলে মহানগরের ডিঙ্গাডোবা রেলক্রসিং থেকে তাকে ধরে আনে রাজপাড়া থানা পুলিশ। পুলিশ বলছে, তিনি কারাগারের প্রাচীর টপকে পালিয়েছিলেন।
এর ওপর কারা প্রাচীরের উভয় পাশে পালা করে তিন শিফটে কারারক্ষীদের হাঁটা টহল থাকে। নিশ্চিদ্র এ নিরাপত্তা বেষ্টনী ছেদ করে কীভাবে ওই আসামি পালালেন তা নিয়ে সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ তার গ্রেফতারের বিষয়টি জানালেও ঘটনার পর থেকে এ ব্যাপারে মুখ খুলছেন না রাজশাহী কারা কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে কথা বলতে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার হাবিবুর রহমানকে ফোন করা হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি। তবে এ ঘটনায় দোষী যেই হোক তাকে শনাক্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার হালিমা খাতুন।
সন্ধ্যায় তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ‘ব্যক্তিগত ছুটিতে আমি বর্তমানে ঢাকায় অবস্থান করছি। কয়েদি পালানোর পুরো ঘটনাটি আমার জানা নেই’। তবে কারও দায়িত্বে অবহেলায় এমন ঘটনা ঘটে থাকলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রাজশাহী ফিরেই বিষয়টি দেখবেন বলেও জানান জেল সুপার।
এদিকে, রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত উপ-মমিশনার (সদর) গোলাম রুহুল কুদ্দুস জানান, সোমবার সকাল ১০টার দিকে ওই আসামি কারাগার থেকে পালিয়ে যান। পরে বিকেলে মহানগরের ডিঙ্গাডোবা রেলক্রসিং থেকে তাকে ধরে আনে রাজপাড়া থানা পুলিশ। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে আলাদা একটি মামলা হয়েছে। ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাকে আবারও কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।
ওমর কিস্কু নামের ওই কয়েদি হত্যা ও ধর্ষণ মামলার যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। ২০১১ সাল থেকে তিনি কারাবাস খাটছেন। খ্রিষ্টান ধর্ম অনুসারী ওমর কিস্কুর বাড়ি রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী উপজেলার শিমলা দীঘিপাড়া গ্রামে।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২৬, ২০১৯
এসএস/ওএইচ/