সোমবার (২৬ আগস্ট) বিকেলে চিকিৎসাধীন হেনার মৃত্যু হয়। তার বাসা রাধানীর শ্যামপুর থানার পালপাড়া এলাকায়।
মৃতের ভাই মো. সুমন জানান, তিনদিন ধরে তার বোনের জ্বর ছিলো। এরপর তাকে মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে সোমবার সকালে হেনাকে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেন সেখানকার চিকিৎসকেরা।
তিনি বলেন, ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় আমার বোনের মৃত্যু হয়। এরপর মৃতদেহ বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। তার দুটি সন্তান রয়েছে।
হাসপাতালে একটি সূত্র জানায়, হেনাসহ এখন পর্যন্ত ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে জুনে একজনের, বাকি ৩৩ জনের জুলাই ও আগস্টে।
ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম নাসির উদ্দিন জানান, এখনও হেনার মৃত্যুর খবরটি আমি শুনিনি। তবে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।
এ পর্যন্ত ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে কিনা- এ বিষয়ে তিনি জানান, মৃত্যুর সংখ্যাটি এমন হতে পারে। তবে এখন পর্যন্ত যারা মারা গেছেন তাদের সবারই নমুনা রোগ তত্ত্ব বিভাগে পাঠানো হয়েছে। রোগ তত্ত্ব বিভাগ থেকে জানাবে আসলে ঢামেকে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে মোট কতজন মারা গেছেন।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৭৭ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৪৫ জন। এখনও ভর্তি অাছেন ৪২৮ জন।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৭ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০১৯
এজেডএস/এমএ