ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখে ধরা পড়লো ৫ ছিনতাইকারী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫৩২ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০১৯
সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখে ধরা পড়লো ৫ ছিনতাইকারী

রাজশাহী: রাজশাহীতে সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে পাঁচ ছিনতাইকারীকে আটক করা হয়েছে। মহানগরীতে দিনে দুপুরে দুই লক্ষাধিক টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় শনাক্তের পর সোমবার (২৬ আগস্ট) বিকেলে তাদের আটক করা হয়।

তাদের কাছে থেকে ছিনতাইয়ের এক লাখ ৩১ হাজার টাকাও উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযানের পর রাতে মহানগর গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশ সাংবাদিকদের এই তথ্য নিশ্চিত করে।

আটকরনা হলেন- ফজলে রাব্বী (২৪), উজ্জ্বল ওরফে কটা (২৩),  রিয়াজ (২৬), জীবন ওরফে রাজু (২৪) ও  মিঠু (২৮)। এদের মধ্যে মিঠু ছাড়া সবার বিরুদ্ধেই মামলা রয়েছে।

রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (সদর) গোলাম রুহুল কুদ্দুস জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটকরা ছিনতাইয়ের কথা স্বীকার করেছেন। তারা চিহ্নিত ছিনতাইকারী। তাদের বিরুদ্ধে আগেও ছিনতাইয়ের মামলা রয়েছে। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে আবারও মামলা হবে।  

ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) সকালে তাদের আদালতে পাঠানো হবে। আদালতে তাদের বিরুদ্ধে রিমান্ডের আবেদন করা হবে।

এদিকে, রাজশাহীর পবা উপজেলা মৎস্য সমবায় সমিতির সভাপতি সাদিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, মেসার্স সাঈদ ফিসারিজ ফার্ম নামে তার মাছের খামার রয়েছে। শনিবার (২৫ আগস্ট) তার খামারের ম্যানেজার গোলাম সারোয়ার ও মাহাবুব ঢাকা থেকে মাছ বিক্রি করে ফিরছিলেন।  

তারা ওই দিন বিকেল সোয়া তিনটার দিকে রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে নেমে পবা উপজেলার নওহাটা যাওয়ার উদ্দেশে অটোরিকশায় ওঠেন। যাত্রীবেশে ওই অটোরিকশায় ওঠেন এই আটক পাঁচ ছিনতাইকারী।  

অটোরিকশাটি মহাগরীর শালবাগানে পৌঁছালে সারোয়ার ও মাহবুবের কাছে থাকা দুই লাখ কুড়ি হাজার টাকা ছিনতাই করে যাত্রীবেশী ওই পাঁচ ছিনতাইকারী পালিয়ে যান। পরে বিসিক পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ করতে যান ভুক্তভোগীরা।  

কিন্তু ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) শামিম অভিযোগ না নিয়ে ফিরিয়ে দেন তাদের। উল্টো তাদের বিরুদ্ধেই ছিনতাইয়ের অভিযোগ তোলেন। এক পর্যায়ে টাকার মালিক সাদিকুল ইসলামকে পুলিশ ফাঁড়িতে ডেকে নিয়ে তার ম্যানেজার সারোয়ার ও মাহবুবের বিরুদ্ধে ছিনতাইয়ের মামলা দিতে বলেন।

কিন্তু বিশ্বস্ত কর্মচারী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা করতে রাজি হননি সাদিকুল ইসলাম। এতে পুলিশের ওই এসআই আরও ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। পরে এসআই শামীম তার কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে ওই দুই কর্মচারীকে ছাড়েন। ।

ঘটনাটি ঊর্ধ্বতন এক পুলিশ কর্মকর্তার কানে গেলে তিনি ডিবি পুলিশকে এর তদন্তের দায়িত্ব দেন। দায়িত্ব পেয়েই ঘটনাস্থলের পাশের এক ভবনের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে ডিবি পুলিশ। ওই ফুটেজ দেখেই পাঁচ ছিনতাইকারীকে শনাক্ত করা হয়। বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে পরে তাদের পাঁচজনকে আটক করে ডিবি পুলিশ।  

এ ঘটনায় মামলা করবেন বলেও জানান মৎস্য সমবায় সমিতির এই নেতা।

বাংলাদেশ সময়: ০১২৪ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০১৯
এসএস/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।