নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক থেকে শুরু করে অলিগলি সব স্থানেই বিদ্যুতের খুঁটিতে মাকড়সার জালের মতো প্যাঁচানো আছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের তার। খুঁটি থেকে ছিঁড়ে পড়া ঝুলন্ত এসব তারের কারণে আতঙ্কের পাশাপাশি রয়েছে মৃত্যুঝুঁকি।
অন্যদিকে বিদ্যুতের খুঁটি ব্যবহার করে এসব তার ছড়িয়ে পড়েছে নগরজুড়ে। অনেক খুঁটির সঙ্গে পাঁকিয়ে তৈরি হয়ে আছে তারের কুণ্ডলি।
মহানগরীর পিকচার প্যালেসের মোড়, কেডিএ অ্যাভিনিউ, ডাক বাংলোর মোড়, শান্তিধামের মোড়, সাত রাস্তার মোড়, পিটিআই মোড়, মডার্ন ফার্নিচারের মোড়, পাওয়ার হাউজ মোড়, ময়লা পোতার মোড়, নিরালার মোড়, গল্লামারি মোড়, সদর থানার মোড়, কালিবাড়ি ঘাট এলাকাসহ প্রধান প্রধান সড়কে এমনকী অনেক অলিগলিতে যে দিকেই তাকান দেখা যাবে বিদ্যুতের খুঁটি জুড়ে তারের জটলা। বিদ্যুতের তারের চেয়ে ডিশ ও ইন্টারনেটের লাইনের তারই দখল করেছে খুঁটি। ডিশ ও ইন্টারনেট লাইনের কর্মীরা সংযোগ দিয়ে অপ্রয়োজনীয় তারগুলো রেখে যায় খুঁটিতে। বিদ্যুৎ তারের সঙ্গে এসব তার মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে। অতিরিক্ত তারে ঝুঁকি বাড়ছে দুর্ঘটনার।
নগরীর পিকচার প্যালেস মোড় এলাকার একটি বেসরকারি ব্যাংক কর্মকর্তা রেজওয়ান ওয়ালিদ অন্তু বলেন, বিদ্যুতের খুঁটিগুলোতে প্রতিনিয়তই বাড়ছে তারের জটলা। ইন্টারনেট, টেলিফোন ও ডিশ লাইনের সংযোগ তারের জটের কারণে ঢাকা পড়ে যাচ্ছে বিদ্যুৎ সংযোগ তারগুলো। নগরীর সব এলাকার সড়কগুলোতে বিদ্যুতের খুঁটিতে খুঁটিতে রয়েছে অবৈধ তারের জটলা। মূল সড়ক কিংবা গলি সব জায়গাতেই তারের জটলা চোখে পড়ে। মাঝে মধ্যে এসব তারে শর্টসার্কিটে আগুন লাগে।
তিনি অভিযোগ করেন, কোনো ধরনের নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে বিদ্যুতের খুঁটিতে ঝুঁকিপূর্ণভাবে তার স্থাপন করছে সংস্থাগুলো। এতে প্রাণহানি ও নানা দুর্ঘটনার পাশাপাশি ঘটছে নগরীর সৌন্দর্যহানিও।
জাতিসংঘ শিশুপার্ক পরিবেশ উন্নয়ন কমিটির সাধারণ সম্পাদক হাসান আহমেদ মোল্লা বাংলানিউজকে বলেন, ইন্টারনেট ও ডিশের তারের কারণে নগরীর অধিকাংশ বিদ্যুতের খুঁটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। দেখার কেউ নেই। বিদ্যুতের খুঁটিতে কেন এসব তার থাকবে। এখনই ব্যবস্থা না নিলে আরও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়বে খুলনা মহানগরী।
তিনি বলেন, ঝুলে থাকা এসব তারের মাধ্যমেই মাঝে মধ্যে ঘটছে নানা দুর্ঘটনা। জঞ্জালের মতো এসব তার নষ্ট করছে নগরীর সৌন্দর্যও। কিন্তু এসব তার অপসারণে ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ওজোপাডিকো) ও খুলনা সিটি করপোরেশনের বিদ্যুৎ বিভাগের কোনো পদক্ষেপই কাজে আসছে না।
এ বিষয়ে ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (ওজোপাডিকো) নির্বাহী পরিচালক (প্রকৌশল) সোমবার (২৬ আগস্ট) বিকেলে বাংলানিউজকে বলেন, বিদ্যুতের খুঁটিতে ইন্টারনেট বা ডিশের তার সবই অবৈধ।
কেন এগুলো অপসারণ করা হয় না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এসব প্রতিষ্ঠান সবাইকে সেবা দেয়। বিশেষ করে ইন্টারনেট বন্ধ করে দিলে সব অফিসে দুর্ভোগ নেমে আসবে। যে কারণে পদক্ষেপ নেওয়া হয় না।
বাংলাদেশ সময়: ০৯১৯ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০১৯
এমআরএম/এএ