মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) সকালে এ ঘটনা ঘটে। অচেতন অবস্থায় তাদের দু’জনকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক শিশু জান্নাতকে মৃত ঘোষণা করেন।
খুলনার রূপসা উপজেলার আইজগতি গ্রামের আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী সোনিয়া। তারা বর্তমানে রাজধানীর গেন্ডারিয়ার স্বামীবাগ এলাকার একটি বাড়িতে ভাড়া থাকেন।
সোনিয়ার স্বামী আনোয়ার হোসেন বলেন, তিনি সিকিউরিটি গার্ডের চাকরি করেন। সোমবার (২৬ আগস্ট) রাতে তিনি ডিউটিতে ছিলেন। তার স্ত্রী সোনিয়া গৃহিণী ও জান্নাত তাদের একমাত্র মেয়ে।
তিনি বলেন, সোনিয়া দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। এজন্য গত দুই থেকে তিনদিন আগে সোনিয়া তার ছোট ভাই সাদ্দামকে ফোন করে স্ত্রীসহ তাদের বাসায় আসতে বলেন। সাদ্দাম কিছু দিন পরে আসবে জানালে ভাইয়ের ওপর অভিমান করেন সোনিয়া। সেই অভিমান থেকেই সকালে সোনিয়া বাচ্চাকে কীটনাশক জাতীয় কিছু পান করান। এরপর নিজেও পান করেন। পরে তিনি নিজেই ফোন দিয়ে আমাকে বাসায় আসতে বলেন।
তিনি আরও বলেন, বাসায় এসে দেখি দু’জনই ফ্লোরে পড়ে আছে। পরে দ্রুত তাদের উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতাল নেওয়া হলে চিকিৎসক জান্নাতকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) বাচ্চু মিয়া বাংলানিউজকে জানান, শিশু জান্নাতের মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে। আর তার মা সোনিয়া মেডিসিন ওয়ার্ডের ৮০২ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন।
গেন্ডারিয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজু মিয়া বাংলানিউজকে জানান, এ ঘটনায় খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২১৪ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০১৯
এজেডএস/আরআইএস/