১৯৯৭ সালে চর ফলকন গ্রামের তালুকদার বাড়ির সামনে ওই ক্লিনিকটি নির্মাণ করা হয়। প্রতিদিন ফলকন ও পাটারিরহাট ইউনিয়নের শত শত বাসিন্দা এ ক্লিনিক থেকে চিকিৎসাসেবা নিয়ে থাকে।
চর ফলকন লুধূয়া এলাকার বাসিন্দা প্রয়াত আবুল হোসেন তালুকদারের ছেলেরা সরকারিভাবে ক্লিনিকটি স্থাপনের জন্য জমি দান করেছিলেন। তাদের জমিতে নির্মাণ হওয়ায় সেটির নাম দেওয়া হয় ‘আবুয়াল হোসেন কমিউনিটি ক্লিনিক’।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, নদী থেকে ক্লিনিকটির দূরত্ব মাত্র ৫০ মিটার।
এদিকে ধেঁয়ে আসছে মেঘনা। আশ-পাশের ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট, ফসলি জমিসহ শত শত পরিবারের বসতবাড়ি এখন হুমকির মুখে।
ক্লিনিকের পাশেই রয়েছে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র, প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মসজিদ। এসব রক্ষায় নদীর পাড়ে বালু ভর্তি জিও ব্যাগ দেওয়া হচ্ছে। তবে, স্থানীয়রা বলছেন যে হারে নদী ভাঙছে সে হারে জিও ব্যাগ দেওয়া হচ্ছে না। দ্রুত সময়ের মধ্যে আরও বেশি জিও ব্যাগ দেওয়ার দাবি করছেন এলাকাবাসী।
স্থানীয় বাসিন্দা হাজিরহাট উপকূল ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক জামাল উদ্দিন তালুকদার বলেন, মেঘনাপাড়ের উপকূলীয় বাসিন্দারা এ ক্লিনিক থেকে চিকিৎসা ও বিনামূল্যে ওষুধ নিয়ে থাকেন। ক্লিনিকটি রক্ষা না করলে এখানকার মানুষ স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হবেন।
লক্ষ্মীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মুসা বলেন, ভাঙন প্রতিরোধে বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ডাম্পিং করা হচ্ছে। ভাঙনের গতি অনেক বেশি, সরকারি বিভিন্ন স্থাপনাসহ বাড়িঘর ফসলি জমি রক্ষায় ভাঙন ঠেকাতে চেষ্টা অব্যাহত আছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১১৬ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০১৯
এসআর/এএটি