বুধবার (২৯ আগস্ট) সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোকদিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ এ সভার আয়োজন করে।
তিনি বলেন, এ কমিশন গঠনের আনুষঙ্গিক জিনিসগুলো অনুধাবন করতে হবে। তাই এ কমিশন গঠনের সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার মন্ত্রিসভা। কারণ এ কমিশন হবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আইনমন্ত্রী আনিসুল বলেন, এটি কোনো ইনকোয়ারি কমিশন হবে না। এটি হবে একটি বিশেষায়িত কমিশন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড, জাতীয় চার নেতা হত্যা, যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মামলার বিচার করেছে যা আমাদের বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের কুশীলবদের ধরতে সাহস জুগিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা এ সাহস নিয়ে এগিয়ে যাবো এবং কমিশন অবশ্যই গঠন করবো। এ কমিশন বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে যারা ছিল তাদের শনাক্ত করবে, তাদের কোন বিচারের আওতায় আনা হবে সে ব্যাপারে সুপারিশ করবে।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু সবসময় আইনের শাসনে বিশ্বাস করতেন, নিয়মতান্ত্রিক রাজনৈতিক আন্দোলন করতেন, আইন-আদালতকে শ্রদ্ধা করতেন, বিচারক- আইনজীবীকে শ্রদ্ধা ও স্নেহ করতেন। তাই আমরা তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধভাবে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। আমাদের এ ঐক্য ধরে রাখতে হবে। তাহলে আপনারা যে কমিশনের স্বপ্ন দেখছেন তা বাস্তবায়িত হবে।
তিনি বলেন, আপনারা যারা সবসময় গণতান্ত্রিক আন্দোলনের পুরোধা ছিলেন, তারা এ কমিশন গঠনের আন্দোলনেও বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন। যাতে করে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের কুশীলবদের ধরা যায়।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে সবচেয়ে বেশি সুবিধা ভোগ করেছেন জিয়াউর রহমান। যখন বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার চার্জ রুজু করা হয়, দেখা যায় জিয়াউর রহমানের নাম পাতায় পাতায়। কিন্তু তার সৌভাগ্য তখন তিনি জীবিত ছিলেন না। না হলে এ মামলার তিন নম্বর আসামি হতো জিয়াউর রহমান।
পরিষদের আহ্বায়ক বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, সাবেক আইনমন্ত্রী আব্দুল মতিন খসরু এমপি, বিমান প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন এমপি, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী মো. কামরুল ইসলাম এমপি, অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, অ্যাডভোকেট সৈয়দ রেজাউর রহমান, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এএম আমিন উদ্দিন প্রমুখ।
সভা শেষে বঙ্গবন্ধু ও তার সঙ্গে নিহত পরিবারের সদস্যদের রূহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০২০৮ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০১৯
আরআইএস/