বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) বিকেলে আসামির উপস্থিতিতে বরিশালের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এম এ হামিদ এই দণ্ডাদেশ দেন। এ মামলার অপর ছয় আসামিকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
দণ্ডিত ইয়াকুব আলী হাওলাদার বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার আজিমপুর গ্রামের বাসিন্দা।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী শেখ মিজানুর রহমান জানান, প্রথম স্ত্রী ইয়াকুবকে ফেলে চলে যায়। এরপর ২০০৭ সালে হাওয়ানুর বেগমকে বিয়ে করে আসামি ইয়াকুব। জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে স্থানীয় মেম্বারদের ফাঁসাতে দ্বিতীয় স্ত্রীকে হত্যার পরিকল্পনা করে সে। পরিকল্পনা মতো ২০০৮ সালের ১৫ নভেম্বর দ্বিতীয় স্ত্রী হাওয়ানুরকে নিয়ে সহযোগী শহীদুলের বাড়িতে যায়। একই দিন রাত ৮টায় চেয়ারম্যানের বাড়ি যাওয়ার কথা বলে হাওয়ানুরকে নিয়ে ওই বাড়ি থেকে বের হয়। পরে স্থানীয় একটি সুপারি বাগানে নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও গলায় ফাঁস দিয়ে স্ত্রীকে হত্যা করে। ঘটনার পর দিন স্থানীয়রা লাশ উদ্ধার করে নিহত হাওয়ানুরের বাবা লাল ঘরামীকে জানায়।
এ ঘটনায় ১৬ নভেম্বর লাল ঘরামী বাদী হয়ে মেহেন্দিগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
২০১০ সালের ২৫ মার্চ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও মেহেন্দিগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শহীদুল্লাহ আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
মামলায় ২৪ জনের মধ্যে ১৫ জনের স্বাক্ষ্য নেওয়ার পর বিচারক ওই রায় ঘোষণা করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪২ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০১৯
এমএস/এইচএডি