ঢাকা, বুধবার, ২৯ মাঘ ১৪৩১, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় সংবর্ধিত হলেন সাবেক দুই অর্থমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪৩৯ ঘণ্টা, আগস্ট ৩০, ২০১৯
শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় সংবর্ধিত হলেন সাবেক দুই অর্থমন্ত্রী শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় সংবর্ধিত হলেন সাবেক দুই অর্থমন্ত্রী-ছবি: জিএম মুজিবুর

ঢাকা: সাবেক দুই অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এবং এম সাইদুজ্জামানকে গুণীজন সংবর্ধনা ২০১৯' প্রদান করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) রাতে রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে দৈনিক বণিক বার্তা এবং বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস) যৌথভাবে এ দুই গুণীজনকে সংবর্ধনা প্রদান করে।

গুনীজন সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের শুরুতেই সরদ, সেতার এবং গিটারের সম্মিলিতভাবে মনোমুগ্ধকর যন্ত্রসঙ্গীত পরিবেশন করা হয়।



গুণীজন সংববর্ধনা অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন দৈনিক বণিক বার্তা সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ এবং বিডিএস মহাপরিচালক ড. কে এস মুর্শিদ।

এরপর সাবেক দুই অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এবং এম সাইদুজ্জামানের কর্মময় জীবনের উপরে নির্মিত একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।

আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান এবং বেসরকারি ও বিনিয়োগ বোর্ডের উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, জাতীয় অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে মোমেন, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, সাবেক কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান আজিজ রহমান, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. শামসুল আলম।

বক্তারা সাবেক এই দুই অর্থমন্ত্রীর কর্মজীবনের নানা বিষয় উল্লেখ করে তাদের কাজের প্রশংসা করেন। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে তাদের অবদান উল্লেখ করেন।

আলোচনা সভা শেষে বর্তমান অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এবং পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ও এম সাইদুজ্জামানের হাতে স্বর্ণের ক্রেস্ট তুলে দেন। এ সময় আয়োজকদের পক্ষ থেকে এই দু’জন গুণীজনকে উত্তরীয় পরিয়ে দেওয়া হয়। সেইসঙ্গে এ দু’জনকে দু’টি পোট্রেট উপহার দেওয়া হয়।

সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত তার অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, এম সাইদুজ্জামান এবং আমার চলার পথ বারবার একই দিকে প্রবাহিত হয়। এম সাইদুজ্জামানের বাবার সিলেটে পোস্টিং হওয়ার কারণে আমরা একই পাড়াতে থাকতাম। তারচেয়ে মজার বিষয় হলো এম সাইদুজ্জামান এবং আমার দু’জনেরই ভাই-বোনের সংখ্যা ১৩ জন। ১৯৫২ সালে আমরা একই সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হই। আবার পড়াশোনা শেষ করে যখন চাকরিতে যোগ দেই সেখানেও আমরা সহকর্মী ছিলাম। এরপর আমি এরশাদ সাহেবের মন্ত্রিসভায় অর্থমন্ত্রী ছিলাম। আমি সেখান থেকে পদত্যাগ করলে এম সাইদুজ্জামান অর্থমন্ত্রী হয়। তাই আমি দেখেছি এম সাইদুজ্জামান এবং আমার চলার পথ বারবার একই দিকে যায়। আজকে আমাকে এবং এম সাইদুজ্জামানকে সংবর্ধনা দেওয়ায় আমি বণিক বার্তা এবং বিডিএস-কে ধন্যবাদ জানাই।

এরপর নৈশ ভোজের মাধ্যমে গুণীজন সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ০০৩৪ ঘন্টা, আগস্ট ৩০, ২০১৯
আরকেআর/এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।