ঢাকা, বুধবার, ২৯ মাঘ ১৪৩১, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

মুক্তি কক্সবাজার'র ৬টি প্রকল্প স্থগিত

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬০৮ ঘণ্টা, আগস্ট ৩০, ২০১৯
মুক্তি কক্সবাজার'র ৬টি প্রকল্প স্থগিত ছবি:সংগৃহীত

কক্সবাজার: রোহিঙ্গাদের মাঝে বিতরণের জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হাতিয়ার (নিড়ানি সদৃশ) তৈরির ঘটনায় এনজিও সংস্থা 'মুক্তি কক্সবাজার'র ছয়টি প্রকল্পের সকল কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এনজিও ব্যুরোর এসাইনমেন্ট অফিসার সিরাজুল ইসলাম খান স্বাক্ষরিত এক পত্রে এ তথ্য জানা গেছে। এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর অনুমোদন না নিয়ে এসব হাতিয়ার তৈরি করা হচ্ছিল বলে সেই পত্রে জানানো হয়।

মুক্তি কক্সবাজার'র স্থগিত প্রকল্পগুলো হলো- ‘নন ফরমাল এডুকেশন প্রোগাম ফর দ্যা চিলড্রেন অফ ফোর্সিবলি ডিসপ্লেসজ মিয়ানমার ন্যাশনাল’, ‘স্ট্রেন্থেনিক রিসাইলেন্স এন্ড ফুড সিকিউরিটি অব ফোর্সিবলি ডিসপ্লেসজ মিয়ানমার ন্যাশনালস এন্ড হোস্ট কমিউনিটি অব টেকনাফ’, ‘ইমপ্রোভ অব ওয়াটার, স্যানিটেশন এন্ড হাইজিন ফর দ্য ডিসপ্লেসজ পার্সন ফ্রম মিয়ানমার এন্ড হোস্ট কমিউনিটি অফ কক্সবাজার ডিস্ট্রিক্ট’, ‘এনহেঞ্চিচং লার্নিং আউটকাম ফর ফোর্সিবলি ডিসপ্লেসজ মিয়ানমার ন্যাশনালস ইন উখিয়া’, ‘ইমপ্রোভ ওয়াশ থ্রো ফিক্যাল ডজ ম্যানেজমেন্ট এন্ড বাথিং কিউবিক্যাল ফর দ্য ডিসপ্লেসজ পার্সন ফ্রম মিয়ানমার ইন কক্সবাজার ডিস্ট্রিক্ট’ ও ‘প্রোটেকশন ইনিশিয়েটিভ ফর আনএকমপেনিড অর অরফ্যান চিলড্রেন ইন কক্সবাজার ডিস্ট্রিক্ট’।

গত ২৬ আগস্ট সোমবার দুপুরে উখিয়ার কোটবাজারের ভালুকিয়া সড়কের একটি কামারের দোকানে অভিযান চালিয়ে নিড়ানি সদৃশ ৬ হাজার পিস লোহার যন্ত্র উদ্ধার করে উপজেলা প্রশাসন।

রোহিঙ্গাদের মাঝে সরবরাহ করতে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ‘মুক্তি কক্সবাজার’র অর্থায়নে এসব অস্ত্র তৈরি করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ ছিল স্থানীয়দের।

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এনজিও ব্যুরোর পাঠানো একটি পত্রের কপি বৃহস্পতিবার হাতে পেয়েছি। এরপরই ‘মুক্তি কক্সবাজার’সহ অন্যান্য এনজিওগুলোর কার্যক্রম আরো গভীর ভাবে নজরে নিতে উখিয়া উপজেলা প্রশাসনকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

কক্সবাজারের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম বলেন, মুক্তি কক্সবাজারসহ সবার কার্যক্রম খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে মুক্তি কক্সবাজার'র প্রধান নির্বাহী বিমল চন্দ্র দে সরকার দাবি করেন, তাদের চলমান একটি প্রকল্পের নিড়ানি তৈরি করা হচ্ছিল স্থানীয় কৃষকদের মাঝে বিতরণের জন্য। আর এ নিয়ে অভিযোগ ওঠায় এনজিও ব্যুরো তদন্তের জন্য তাদের ৩০টি প্রকল্পের মধ্যে ছয়টি প্রকল্প স্থগিত করেছে।

স্থানীয়দের বিরুদ্ধে ব্যবহারের জন্য রোহিঙ্গাদের সরবরাহ করতে এসব হাতিয়ার তৈরি করা হচ্ছিল অভিযোগ স্থানীয়দের।

বাংলাদেশ সময়: ০২০৪ ঘন্টা, আগস্ট ৩০,২০১৯
এসবি/এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।