বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) রাত সাড়ে ১২টায় শহরের টানবাজার এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় তার সহকর্মী খোরশেদের ছেলে মিরাজ হোসেনকে (১৮) আটক করা হয়েছে।
পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
নিহত আরিফ হোসেন শহরের নিতাইগঞ্জ ঋষিপাড়া এলাকার আব্দুল মতিনের ছেলে। সে রিভারভিউ মার্কেটের একটি হোসিয়ারী কারখানার শ্রমিক।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গোলম মোস্তফা জানান, আরিফ কয়েক সপ্তাহ আগে সোহরাব হোসেন নামে তার এক সহকর্মীর কাছ থেকে ১ হাজার থেকে ১৫০০ টাকা ধার নেয়। সে টাকা সোহরাব ফেরত চাইলে আরিফ দেই দিচ্ছি বলে ফেরত দেয়নি। বরং সোহরাবের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে। এর জের ধরে বৃহস্পতিবার রাতে কারখানার কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে সোহরাব আরিফকে ডেকে শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে নিয়ে যায়। সেখানে মিরাজ সহ আরো কয়েকজন যুবক আগে থেকেই উপস্থিত ছিল। পরে সেখানে সোহরাব পুনরায় অরিফের কাছে টাকা চাইলে দুইজনের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে আরিফের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় সোহরাব ও তার সহযোগিরা। এরপর অরিফের বুকে সহ শরীরের কয়েক জায়গায় ধরালো ছুরি দিয়ে আঘাত করে সোহরাব সহ তার সহযোগিরা পালিয়ে যায়। এসময় আরিফের ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা মিরাজকে আটক করে পুলিশে দেয়। আর স্থানীয়রা আশঙ্কাজনক অবস্থায় আরিফকে উদ্ধার করে শহরের খানপুর এলাকার ৩০০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে।
তিনি আরো বলেন, ঘটনাস্থল থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় পলাতক সোহরাব সহ অন্য যুবকদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
নিহতের বড় ভাই দেলোয়ার হোসেন বলেন, অরিফের কাছ থেকে টাকা পাওনা ছিল সেটা আমাদের জানা নেই। আর যদি পাওনা থাকতো তাহলে আমাদের জানালে দিয়ে দিতাম। তাই বলে এভাবে মেরে ফেলতে হবে। আমরা এ হত্যার বিচার চাই।
বাংলাদেশ সময়: ০৫০৪ ঘণ্টা, আগস্ট ৩০, ২০১৯
এমএমএস