শুক্রবার (৩০ আগস্ট) দুপুরে একটি স্টিল মিলের (তার কর্মস্থল) শ্রমিকদের কাছ থেকে সংবাদ পেয়ে আমানুল্লাহর পচনশীল মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নিহত আমানুল্লাহ চাঁদপুরের উত্তর মতলবের শটাকি গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। তিনি কদমতলীর মুন্সিখোলা এলাকায় অবস্থিত টেকনো সাম ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেডের পরিছন্ন কর্মী হিসেবে চাকরি করতেন এবং ওখানেই থাকতেন।
নিহতর ছোট ভাই আসাদ প্রধান জানান, গত শুক্রবার থেকে তার ভাইকে কর্মস্থল থেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। বিষয়টা আমার কদমতলী থানাকে জানাই। সেখানে একটি জিডিও করা হয়। আজ হঠাৎ কারখানা থেকে পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে কারখানার ভেতর থেকে মরদেহ উদ্ধার করে।
কদমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জামাল উদ্দিন মীর জানান, কর্মস্থল থেকেই নিখোঁজ এক কর্মচারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজের পর তারা পরিবার থানায় অভিযোগ করার করে। পরে পুলিশ কারখানায় অনেকবার যাওয়ার পরও কোনো কিছু পায়নি। তবে যে জায়গা থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, সেই জায়গাটি কারখানা বাউন্ডারির ভেতরে একটি সরু জায়গা। সেখানে লোকজনের যাতায়াত ছিল না। উপরে ছিল বিদ্যুতের ৩৩হাজার ভোল্টের তার। সব বিষয় তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৪ ঘণ্টা, আগস্ট ৩০, ২০১৯
এজেডএস/এইচএডি