গত জুলাইয়ের শুরুতে দেশের বিভিন্ন পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে এক্সসিড ক্যাম্পাস অ্যাম্বাসেডর নামে প্রতিনিধি নিয়োগ দিয়ে থাকে কোম্পানিটি। নিয়োগপ্রাপ্ত অ্যাম্বাসেডর বিভিন্ন ধরনের ক্যারিয়ার ক্লাবের মাধ্যমে এ পর্যন্ত বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ব্যাটল অব মাইন্ড ২০১৯’ এর রোড শো শুরু করেছে এবং নিবন্ধন করছে।
বিএটিবি ২০০৪ সাল থেকে মূলত ব্র্যান্ড প্রমোশন, তরুণ প্রজন্মকে ধূমপানে আকৃষ্ট করা এবং নীতিপ্রণেতাদের প্রভাবিত করতেই এ মৃত্যুবিপণন প্রতিযোগিতার আয়োজন করে আসছে। কর্মসংস্থান দেওয়ার নামে কোম্পানিটি প্রতিবছর এ প্রতিযোগিতা আয়োজনে বিপুল অর্থ ব্যয় করে।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, বিগত ১৬ বছরে চাকরি দেওয়ার অজুহাতে ৩০ হাজারের অধিক তরুণকে এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করানো হলেও চাকরি পেয়েছে মাত্র ১০০ জন বা এর সামান্য কিছু বেশি।
ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০০৫ (সংশোধিত ২০১৩) এর ৫(গ) ধারায় কোনো ধরনের প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানের ব্যয়ভার বহন ও পুরস্কার দেওয়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এমনকি আইনের এ ধারা লঙ্ঘন করলে অনধিক এক লাখ টাকা জরিমানা বা অনূর্ধ্ব তিন মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড বা উভয় দণ্ডের বিধান আছে। বিএটিবির এ ধরনের কার্যক্রম ২০৪০ সালের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকারের অন্তরায়।
তরুণ প্রজন্মকে রক্ষায় বহুজাতিক তামাক কোম্পানির বিতর্কিত প্রতিযোগিতা ‘ব্যাটল অব মাইন্ড ২০১৯’ অবিলম্বে বন্ধ করতে ঢাকা আহছানিয়া মিশন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেল বরাবর চিঠি দেয়। আগামী ২ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ব্যাটল অব মাইন্ড ২০১৯’ রোড শোর আয়োজন বন্ধ করতে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর চিঠি দেয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৮ ঘণ্টা, আগস্ট ৩১, ২০১৯
আরবি/