রোববার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে সিলেট জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আমিনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
এর আগে ভোরে উপজেলার শেওলা সেতুর নিচে এ ‘বন্দুকযুদ্ধ’ হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১৭ জুন বিয়ানীবাজার থানার শিকারপুর গ্রামের আব্দুল মান্নানের বাড়িতে ডাকাতি হয়। এ ঘটনায় বিয়ানীবাজার থানায় দায়েরকৃত মামলায় গ্রেফতার আসামিদের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে মিছবাহকে গ্রেফতার করে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যমতে, ডাকাতিকালে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধারে যায় পুলিশ।
বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অবনী শংকর কর ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোড়ল মিজানুর রহমান এবং সঙ্গীয় ফোর্সসহ ভোরে ঘটনাস্থল শেওলা সেতুর নিচে অস্ত্র উদ্ধারে যায় পুলিশ। এসময় আগে থেকেই ওঁৎ পেতে থাকা তার সহযোগিরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। আত্মরক্ষার্থে জন্য পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এক পর্যায়ে পুলিশ হেফাজতে থাকা ডাকাত মিছবাহ দক্ষিণ চরিয়া রাস্তা অভিমুখে পালানোর চেষ্টা করে। পুলিশের ব্যাপক প্রতিরোধে মিছবাহ’র সহযোগিরা পালিয়ে যায়।
পরে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় এবং অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করে ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে ডাকাত মিছবাহ’র সহযোগিদের ফেলে যাওয়া একটি দেশীয় তৈরি পাইপগান, পাঁচ রাউন্ড তাজা গুলি, ছয় রাউন্ড গুলির খোসা, দু’টি রামদা, একটি ছোরা, একটি কার্টার, একটি তলোয়ারসহ ব্রিজের নিচে ডাকাত মিছবাহকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
বিয়ানীবাজার থানার ওসি অবনী শংকর বলেন, ডাকাত মিছবাহ উদ্দিনের নামে জেলার বিভিন্ন থানায় অস্ত্র, ডাকাতি ও ডাকাতির প্রস্তুতিসহ মোট ৮টি মামলা রয়েছে। সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুতের পর তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সিলেট জেলার পুলিশ সুপার জনাব মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন বলেন, ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আসামিদের গ্রেফতারে সিলেট জেলার সব থানার সমন্বয়ে যৌথ অভিযান পরিচালনার নির্দেশনা ইতোমধ্যে দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০১, ২০১৯
এনইউ/আরবি/