কিন্তু রোববার (১ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে তামাকবিরোধী বিভিন্ন সংগঠনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে রোড শো বন্ধ করার কথা জানিয়েছে ঢাবি কর্তৃপক্ষ।
রোববার তামাকবিরোধী বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা ঢাবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো আখতারুজ্জামান, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদের সঙ্গে দেখা করে ও ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলামের সঙ্গে ফোনে কথা বলে রোড শো বন্ধ করার অনুরোধ জানায়।
গত জুলাইয়ের শুরুতে দেশের বিভিন্ন পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে এক্সসিড ক্যাম্পাস অ্যাম্বাসেডর নামে প্রতিনিধি নিয়োগ দিয়ে থাকে বিএটিবি। নিয়োগপ্রাপ্ত অ্যাম্বাসেডর বিভিন্ন ধরনের ক্যারিয়ার ক্লাবের মাধ্যমে এ পর্যন্ত কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যাটল অব মাইন্ড ২০১৯ এর রোড শো শুরু করেছে এবং নিবন্ধন করছে। ২ সেপ্টেম্বর ঢাবিতে রোড শো আয়োজন করার কথা ছিল কোম্পানিটির।
প্রসঙ্গত, গত ২৯ আগস্ট ব্যাটেল অব মাইন্ড বন্ধে ঢাকা আহছানিয়া মিশন ও প্রত্যাশা মাদকবিরোধী সংগঠন ঢাবি উপাচার্যকে চিঠি দেয়।
বিএটিবি ২০০৪ সাল থেকে মূলত ব্র্যান্ড প্রমোশন, তরুণ প্রজন্মকে ধূমপানে আকৃষ্ট করা এবং নীতিপ্রণেতাদের প্রভাবিত করতেই এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে আসছে। কর্মসংস্থান দেওয়ার নামে কোম্পানিটি প্রতিবছর এ প্রতিযোগিতা আয়োজনে বিপুল অর্থ ব্যয় করে।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, বিগত ১৬ বছরে চাকরি দেওয়ার অজুহাতে ৩০ হাজারের অধিক তরুণকে এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করানো হলেও চাকরি পেয়েছে মাত্র ১০০ জন বা এর সামান্য কিছু বেশি।
ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০০৫ (সংশোধিত ২০১৩) এর ৫(গ) ধারায় কোনো ধরনের প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানের ব্যয়ভার বহন ও পুরস্কার দেওয়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এমনকি আইনের এ ধারা লঙ্ঘন করলে অনধিক এক লাখ টাকা জরিমানা বা অনূর্ধ্ব তিন মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড বা উভয় দণ্ডের বিধান আছে। বিএটিবির এ ধরনের কার্যক্রম ২০৪০ সালের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকারের অন্তরায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০১, ২০১৯
আরবি/