গণধর্ষণের শিকার ওই নারী বুধবার (০৪ সেপ্টেম্বর) সকালে বাদী হয়ে শার্শা থানায় মামলা করেন। তবে ওই নারী প্রথমে শার্শার গোড়পাড়া পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) খায়রুলসহ তার সোর্সের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের অভিযোগ তুলেছিলেন।
গ্রেফতার আসামিরা হলেন- শার্শার লক্ষণপুর গ্রামের মজিদের ছেলে কাদের, মাজেদের ছেলে লতিফ ও চটকাপোতা গ্রামের হামিজ উদ্দীনের ছেলে কামরুল।
নির্যাতিত ওই নারীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া ঘটনাটি তদন্তে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি করেছে পুলিশ।
>>>আরও পড়ুন...পুলিশের বিরুদ্ধে বাড়িতে ঢুকে ‘গণধর্ষণের’ অভিযোগ
এর আগে, ধর্ষণের শিকার ওই নারী জানান, গত ২৫ আগস্ট রাতে শার্শার লক্ষণপুরের গ্রামের বাড়ি থেকে তার স্বামী আশাদুজ্জামানকে মাদক ব্যবসার অভিযোগে তুলে নিয়ে যান এসআই খায়রুল। পরদিন তার কাছ থেকে ৫০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার দেখিয়ে তাকে আদালতে চালান দেন।
সোমবার (০২ সেপ্টেম্বর) রাতে এসআই খায়রুল ও তার কয়েকজন সোর্স ওই নারীর বাড়িতে গিয়ে তাকে ঘুম থেকে ডেকে তোলেন। পরে স্বামীকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার কথা বলে এসআই খায়রুল ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। বিষয়টি নিয়ে খায়রুলের সঙ্গে ওই নারীর কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে খায়রুল ও তার সোর্স তাকে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি কাউকে জানালে তাকেও মামলায় ফাঁসানোর হুমকিও দেওয়া হয়।
শার্শা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান জানান, ধর্ষণের শিকার নারী জানিয়েছেন তাকে যখন ধর্ষণ করা হয় তখন তিনি খায়রুল নামটা শুনেছিলেন। এ ধারণা থেকে তিনি এসআই খায়রুলের নাম প্রকাশ করেন। তবে এইআই খায়রুলকে তার সামনে হাজির করা হলে তিনি তাকে চিনতে পারেননি। এতে এ অভিযোগ থেকে এসআই খায়রুলকে বাদ দিয়ে অন্য তিনজনের নামে মামলা করা হয়েছে। আসামিদেরও গ্রেফতার করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৪, ২০১৯
এনটি