এদিকে, দেরিতে হলেও নদীতে মাছ ধরা পড়ায় হাসি ফুটেছে জেলেদের মুখে। মাছ বিক্রির টাকায় লোকসান পুষিয়ে উঠতে পারবেন বলে আশাবাদী তারা।
জেলেরা জানায়, এতোদিন নদীতে মাছের দেখা মেলেনি, এতে বেশিরভাগ জেলে দাদন আর মহাজনের দেনায় চিন্তিত হয়ে পড়েছিলেন। কিন্তু গত দুইদিন ধরে নদীতে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়ছে। এতে দেনা পরিশোধ হবে। সংকট কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন তারা।
ভোলার খাল, ইলিশা ও বিশ্বরোড ঘাটসহ বেশ কয়েকটি ঘাট ঘুরে এ তথ্য পাওয়া যায়।
ইলিশা এলাকার জেলে নিজাম ও করিম বাংলানিউজকে বলেন, আগে সারাদিন জাল নিয়ে ছুটলেও ফিরতে হতো খালি হাতে। কিন্তু এখন যা মাছ পাওয়া যাচ্ছে তা অনেক সন্তোষজনক। এক খেও দিয়ে ১০/১৫ হাজার টাকার মাছ পাওয়া যাচ্ছে।
জেলে মো. মাসুদ বলেন, গত দুইদিনে ৩০ হাজার টাকার মাছ বিক্রি করেছি, মাছের আমদানি অনেক ভালো। এতে অনেক জেলেই ঋণ শোধ করে ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন।
বিশ্বরোড মাছ ঘাটের আড়তদার সাহাবুদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, নদীতে মাছ ধরা পড়ায় জেলে ও আড়তদাররা অনেক খুশি। দিন যতো বাড়বে মাছের আমদানি অনেক বাড়বে। এখানকার মাছ ঢাকায় পাঠানো হচ্ছে।
সামসুদ্দিন নামের অপর আড়তদার বাংলানিউজকে বলেন, মাছ ধরা পড়লেও মা ইলিশ অভিযান নিয়ে কিছুটা চিন্তিত, কারণ শেষ মুহুর্তে মাছ ধরা পড়া শুরু করেছে। তবুও জেলেরা ঘুরে দাঁড়াতে পারবে।
ভোলার সিনিয়ন মৎস্য কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, এ বছর ইলিশ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে এক লাখ ৬০ হাজার মেট্রিক টন। এখন পর্যন্ত ৪০/৪৫ মেট্রিক উৎপাদন হয়েছে। আশাকরি ইলিশের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে। এ ইলিশ টানা ডিসেম্বর পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৫৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৭, ২০১৯
এনটি