মংছেনচীং দীর্ঘদিন ধরে ফুসফুস ও ব্রেইনে দুরারোগ্য মরণব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন। কিছুদিন আগে ঢাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরে আসেন।
মংছেনচীং ২০১৬ সালে ২০ ফেব্রুয়ারি গবেষণায় বিশেষ অবদানের জন্য একুশে পদক পান। ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীদের মধ্যে তিনিই প্রথম এ সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন। ১৯৬১ সালের ১৬ জুলাই কক্সবাজার জেলায় রাখাইন পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। শৈশব থেকে লেখালেখির প্রতি বিশেষ জোঁক ছিল তার। সেখান থেকেই শুরু।
১৯ বছর বয়সে ১৯৮০ সালে প্রকাশিত হয় মংছেনচীংয়ের প্রথম বই কক্সবাজার রাখাইন ছাত্র সমাজ। এর পর আর তাকে পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। একে একে লিখে গেছেন বহু বই। মংছেনচীংয়ের মূল বিষয় ছিল রাখাইন জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রা, কৃষ্টি-সংস্কৃতি, ঐতিহ্য নিয়ে। কখনোবা উঠে এসেছে দেশে বসবাসরত ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর জীবনমান নিয়ে।
মংছেনচীং কক্সবাজার কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করার পর বাইবেল বিষয়ে ডিপ্লোমা পাস করেন। পেশায় সাংবাদিক মংছেনচীং তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে রাঙামাটি থেকে প্রকাশিত দৈনিক গিরিদর্পণের সঙ্গে যুক্ত আছেন। তিনি পরিবার নিয়ে স্থায়ীভাবে খাগড়াছড়ির মহালছড়িতে বসবাস করতেন। দুই কন্যা সন্তানের জনক তিনি। স্ত্রী শোভা রাণী ত্রিপুরাও রোকেয়া পদকপ্রাপ্ত লেখক।
রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) খাগড়াছড়ির মহালছড়িতে তার শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৭, ২০১৯
এডি/আরবি/