শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) মহানগর চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ অভিযোগপত্র দাখিল করেন পিবিআই’র পরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আবুল হোসেন।
অভিযোগপত্রে যাদের নাম রয়েছে, তারা হলেন- ওই হামলায় নিহত মর্জিনার বোন আর্জিনা (১৯), তার স্বামী জহুরুল হক ওরফে জসিম (২৫) ও হাসান (২৬)।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে একটি জঙ্গি হামলার ঘটনায় ২০১৭ সালের ১৫ মার্চ এ তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আতিয়া মহলে নিহত চার জঙ্গিকে এরাই জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ করে বলে জানানো হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আবুল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ঘটনার প্রায় ২৯ মাস পর সন্ত্রাস দমন আইনের ৬(২), ৭(৩), ৮, ৯(৩) ধারায় অভিযোগপত্রে ওই তিনজনের নামোল্লেখ করা হয়। এ ঘটনায় আরও পাঁচজন আসামি থাকলেও বোমা বিস্ফোরণে তারা মারা যাওয়ায় অভিযোগপত্র থেকে তাদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। যাদের নাম বাদ পড়েছে, তারা হলেন- মৌলভীবাজারে স্ত্রী সন্তানসহ মারা যাওয়া জঙ্গি মোশাররফ, আতিয়া মহলে বোমা বিস্ফোরণে মারা যাওয়া মর্জিনা, তামিম আহমদ ফরাজী এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরও দু’জন।
তিনি বলেন, আদালতে দেওয়া ৫৩৪ পৃষ্ঠার অভিযোগপত্রে ৬০ ধরনের আলামত দেখানো হয়েছে।
এতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, আসামিরা নব্য জেএমবির সদস্য। তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে জঙ্গি সংগঠন গড়ে তুলেছিল।
২০১৭ সালের ২৪ মার্চ ভোর থেকে জঙ্গি আস্তানা আতিয়া মহলে ‘অপারেশন টোয়ালাইট’ চলাকালে ওই ভবনে ব্যাপক গুলিবিনিময় ও বিস্ফোরণ ঘটে। ওই অভিযানে চার জঙ্গি এবং র্যাবের গোয়েন্দা ইউনিটের প্রধান লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবুল কালাম আজাদ, পুলিশ পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম ও আবু কাওসারসহ ১১ জন প্রাণ হারান। এছাড়া বিস্ফোরণে আহত হন র্যাব ও পুলিশ সদস্য এবং সাংবাদিকসহ কয়েকজন। অভিযানে আতিয়া মহলের ৭৮ বাসিন্দাকে উদ্ধার করা হয়। পাঁচ দিনের মাথায় অভিযানের সফল সমাপ্তি ঘোষণা করে সেনাবাহিনীর কমান্ডো ইউনিট।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৭, ২০১৯
এনইউ/আরআইএস/