রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূত রবার্ট মিলারের সৌজন্যসাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন।
মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাতের বিষয়ে কাদের বলেন, রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে কিছু কথা হয়েছে।
‘আমরা মনে করছি, আমাদের কাছে কিছু ইনফরমেশন আছে, আমরা খতিয়ে দেখছি। ইনফরমেশন সব ট্রু হবে এমন তো কথা নেই। ইনফরমেশনের মধ্যে কিছু প্রো-পাকিস্তানি এনজিও আছে তারা সমস্যা সৃষ্টি করছে, সহিংসতা করছে। সম্প্রতি তারা দোয়া করবে, আল্লার কাছে মোনাজাত করবে- একথা বলে অনুমতি নিয়ে রাজনৈতিক সমাবেশের দিকে গেছে, এসব নিয়ে আমাদের একটা উদ্বেগ আছে সেটা আমরা বলেছি। ’
ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা (মার্কিন রাষ্ট্রদূত) বললো আমরা তো এই ইস্যুতে প্রথম থেকেই তোমাদের সঙ্গে আছি, বাংলাদেশ যে পজিটিভলি রেসপন্স করেছে, প্রধানমন্ত্রী ব্যক্তিগতভাবে বর্ডার উন্মুক্ত করে দিয়েছেন যে উদারতার সঙ্গে, এটা রেয়ার। অবশ্যই বাংলাদেশ প্রশংসার দাবিদার।
যুক্তরাষ্ট্র প্রত্যাবাসনে চাপ দেবে কিনা- এ বিষয়ে কাদের বলেন, সেটা আমরা বলছি। তাদের সঙ্গে চায়নার ট্রেডওয়্যার চলছে, মিয়ানমারকে হয়তো চাপ প্রয়োগ করবে। আমাদের প্রতিনিধিদল চায়না গেছে। চায়নার মতো বড় শক্তি মিয়ানমার তাদের বন্ধু দেশ, সেক্ষেত্রে মিয়ানমারের উপর চাপটা আরো বেশি করে প্রয়োগ করে। এখানে ১১ লাখ লোক আমাদের ইকোট্যুরিজম অ্যাফেক্ট হচ্ছে। এত বড় বোঝা নিতে পারছি না।
‘তারা প্রতিনিয়তই মিয়ানমারের উপর চাপ প্রয়োগ করছে, যাতে তাদের ডিগনিটি ও সেফটি এবং সিটিজেনশিপ নিশ্চিত করে তাদের সিটিজেনকে তাদের দেশে ফিরিয়ে নিয়ে যায়। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৮, ২০১৯
এমআইএইচ/এএ