সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুর পর্যন্ত জেলা জুড়ে এ অভিযান চালানো হয়।
পুলিশ সুপার হায়াতুল ইসলাম খানের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয় বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোল্লা আজাদ হোসেন।
তিনি জানান, স্কুল ও কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা রেখে শহরের বিভিন্ন স্থানে রাতে আড্ডা দেয় সেখান থেকে যেন কোনো অপরাধ সংগঠিত হতে না পারে এবং একই সঙ্গে জেলার কোনো থানায় যেন কোনো কিশোর গ্যাং লিডার সৃষ্টি হতে না পারে সেই লক্ষ্যে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও জানান, অভিযানকালে পুলিশ স্কুল ও কলেজ পড়ুয়া ৯২ জনকে আটক করেছে। এর মধ্যে পিরোজপুর সদর উপজেলা থেকে ৩০ জন, নাজিরপুর থেকে ২২ জন, ভান্ডারিয়া থেকে ১৭ জন, মঠবাড়ীয়া থেকে ৮ জন, ইন্দুরকানী থেকে ১ জন, কাউখালী থেকে ৪ জন এবং নেছারাবাদ থেকে ১০ জনসহ মোট ৯২ জনকে আটক করা হয়।
পুলিশ সুপার হায়াতুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের জানান, গ্যাং কালচার অপরাধের একটি নতুন মাত্রা। কিশোর অপরাধীরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে বড় বড় অপরাধের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে। বিশেষ করে স্কুল/কলেজে পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা রাতে বিভিন্ন স্থানে সংঘটিত হয়। পড়াশোনা রেখে রাতে বাইরে কেউ আড্ডা দিতে পারবে না। পিরোজপুর জেলায় কোনো কিশোর গ্যং লিডার সৃষ্টি হতে দেওয়া হবে না। তাই এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
আপনার সন্তান কোথায় থাকে কার সঙ্গে আড্ডা দেয় এবং প্রয়োজন ছাড়া রাতে বাইরে থাকে কি না সেই দিকে নজর রাখতে অভিভাবকদের প্রতি আহবান জানান পুলিশ সুপার।
কিশোর গ্যাংয়ে যাতে কেউ সম্পৃক্ত হতে না পারে সে ব্যাপারে সজাগ থাকতে অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে পুলিশ সুপার বলেন, উঠতি বয়সের ছেলে-মেয়েরা যাতে মাদক, সন্ত্রাস, ইভটিজিংসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা অপরাধে লিপ্ত না হতে পারে এজন্য অভিভাবক ও সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।
এ অভিযানে পিরোজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) মোল্লা আজাদ হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আহমাদ মাঈনুল হাসান, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সদর থানা, ওসি ডিবিসহ জেলা পুলিশের সদস্যরা ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০১৯
আরএ