সমীক্ষা অনুযায়ী উঠে এসেছে, দিনে দিনে পশ্চিমবঙ্গের মানুষের সুগার ও প্রেসারের প্রকোপ বাড়ার করার তথ্য। পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য দপ্তরের উদ্যোগে এ সমীক্ষার প্রতিবেদন সম্প্রতি প্রকাশ করা হয়।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পশ্চিমবঙ্গে বসবাস করেন প্রায় সাড়ে ৯ কোটি মানুষ। এর মধ্যে সমীক্ষা চালানো হয় ৮৭ লাখ ৮৯ হাজার ৭৪৬ জনের ওপর। তবে এখন পর্যন্ত ৯ লাখ ৭ হাজার ৫২১ অর্থাৎ তার ১০ শতাংশের কিছু বেশি মানুষের তথ্য এসেছে স্বাস্থ্য দপ্তরের হাতে।
এর মধ্যে পুরুষ ৪ লাখ ১২ হাজার ৩৬৭ জন এবং নারী ৪ লাখ ৯৫ হাজার ১৫৪ জন। এতেই চোখ কপালে ওঠার মতো অবস্থা!
জানা যায়, ওই ৯ লাখ ৭ হাজার ৫২১ জন রাজ্যবাসীর মধ্যে প্রায় দেড় লাখ মানুষই ভূগছেন হাই ব্লাড-প্রেসারে। শতকরা হিসেব বলছে, প্রতি ১০০ জনে ১৬ জনেরই রক্তচাপ বেশি। এছাড়া সুগারের কবলে পড়েছেন ১ লাখ ১৫ হাজার ২৩৭ জন।
যা শতকরা হিসেবে, ১২ দশমিক ৬৯ শতাংশ। অর্থাৎ প্রতি ৮ জন রাজ্যবাসীর মধ্যে একজন ভূগছেন রক্তে অধিক শর্করায়। রাজ্যের স্বাস্থ্য মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা বলেছেন, বিষয়টি খুবই উদ্বেগের।
এ বিষয়ে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. অরূপ দাস বিশ্বাস বাংলানিউজকে বলেন, সুগার ও প্রেসার এই দুই ক্রনিক ডিজিজে এক অর্থে আমরা আণবিক বোমার ওপর বসে আছি। এতটাই ভয়াবহ পরিস্থিতি! সমস্যাটি আর শুধু বড়দের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। বিভিন্ন স্কুল-কলেজের রিপোর্টেও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সুগার-প্রেসার নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসছে।
এখনই এ বিষয়ে সাবধান ও সচেতন না হলে এ দুই রোগ পশ্চিমবঙ্গে আরও বেশি ছড়িয়ে পড়বে বলে মনে করেন তিনি।
জানা গেছে, একজন ব্যক্তির ব্লাড প্রেসার রিডিং যখন ১৪০/৯০ বা এর চেয়েও বেশি হয় তখন বলা হয় হাই-পারটেনশন। একে সাইলেন্ট কিলারও বলা হয়ে থাকে। সঠিক সময়ে এর চিকিৎসা করা না হয় তাহলে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক এমনকি কিডনি ফেইলিওর-ও হতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০১৯
ভিএস/এমএ