সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাতে নরসিংদী শহরের সাহেপ্রতাপ ট্রাক টার্মিনাল এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে র্যাব-১১ থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপিতে এ তথ্য জানানো হয়।
গ্রেফতারকৃত জাকির হোসেন শিবপুরের বাঘাব ইউনিয়নের জয়মঙ্গল গ্রামের মো. সিরাজ উদ্দিনের ছেলে।
র্যাব-১১ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জসিম উদ্দীন চৌধুরী জানান, গত ২৫ জুলাই বৃহস্পতিবার উপজেলার বাঘাব ইউনিয়নের জয়মঙ্গল গ্রামে রাত ১১টার দিকে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘরের বাইরে বের হয় ওই কিশোরী। এসময় আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা একই গ্রামের জাকির, হযরত ও কাজল মুখ চেপে ধরে ওই কিশোরীকে অটোরিকশায় তুলে জয়মঙ্গল গ্রামের কাজল মিয়ার বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে জাকির, হযরত, কাজল, সেলিম ও মনির তাকে পালাক্রমে গণধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর আসামিরা এ ব্যাপারে কাউকে কিছু না বলার জন্য কিশোরীকে হুমকি দিয়ে অচেতন অবস্থায় জাকির হোসেনের বাড়ির রান্না ঘরে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
খবর পেয়ে কিশোরীর মা-বাবা ও চাচা অভিযুক্ত জাকির হোসেনের বাড়ির রান্নার ঘর থেকে কিশোরীকে উদ্ধার করে। লোকলজ্জার ভয়ে এবং মেয়ের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে তারা বিষয়টি গোপন রাখে। কিন্তু পরবর্তীতে আসামিদের মাধ্যমে ঘটনা জানাজানি হলে বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যান ও মেম্বারকে অবহিত করে মেয়েটির পরিবার।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ঘটনাটি মীমাংসার আশ্বাস দিয়ে বেশ কয়েকদিন কালক্ষেপণ করেন। অন্যদিকে আসামিরা কিশোরীর পরিবারের সদস্যদের জীবন নাশের হুমকি দিয়ে আসছিল। এক পর্যায়ে চেয়ারম্যান অপারগতা প্রকাশ করায় কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে গত ২ আগস্ট (শুক্রবার) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে শিবপুর থানায় ৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। পরে এ ঘটনায় জড়িত অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে র্যাব ১১ এর একটি বিশেষ দল অভিযান পরিচালনা করে। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার রাতে নরসিংদী শহরের সাহেপ্রতাপ ট্রাক টার্মিনাল এলাকায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত জাকির হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত জাকিরের বিরুদ্ধে শিবপুর মডেল থানায় আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০১৯
আরএ