বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) টিআইবির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান এ দাবি জানান।
সম্প্রতি একটি সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, গত ১১ ফেব্রুয়ারি ডাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর ছাত্রলীগের ৩৪ জন বর্তমান ও সাবেক নেতা ছাত্রত্ব টিকিয়ে রাখতে ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্স্যুরেন্স বিভাগের মাস্টার্স অব ট্যাক্স ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রামে ভর্তি বিজ্ঞাপন, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা ছাড়াই ভর্তি হন।
বিজ্ঞপ্তিতে ড. জামান বলেন, অভিযোগ সঠিক হলে তা হবে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতারণার শামিল। উত্থাপিত অভিযোগ বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষার ভবিষ্যৎ তথা মেধাভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার সব প্রত্যাশার জন্য অশনি সংকেত। একদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিত করা যেমন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মত প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা ও সুনাম অক্ষুণ্ন রাখার জন্য অপরিহার্য, অন্যদিকে নিয়মনীতি অনুসরণ করে সমান প্রতিযোগিতার ক্ষেত্র নিশ্চিত করে স্বচ্ছতা ও শুদ্ধাচার চর্চার মাধ্যমে ভর্তিপ্রত্যাশী সব শিক্ষার্থীদের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠার বাস্তব দৃষ্টান্ত স্থাপন করাও তেমন কর্তৃপক্ষের গুরু দায়িত্ব। এক্ষেত্রে কোনো প্রকার ব্যত্যয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নিকট গ্রহণযোগ্য হবে না বলে আমরা বিশ্বাস করতে চাই।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রত্বের অবস্থাকে রাজনৈতিক বা অন্য কোনো সুবিধা অর্জনের মাধ্যম হিসেবে পরিণত করার যে কোনো প্রয়াসকে কর্তৃপক্ষ প্রতিহত করবে- এমন আশাবাদ ব্যাক্ত করে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, অন্যথায় গুণগত শিক্ষার প্রসারের মাধ্যমে যুগোপযোগী বৈশ্বিক প্রেক্ষিতে যোগ্য মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে ওঠার জন্য যুবসমাজের যে স্বপ্ন তা ধূলিসাৎ হবে।
রাজনৈতিক বিবেচনায় বা অন্য কোনো সাময়িক সুবিধা অন্বেষী স্বার্থান্বেষী চক্রান্তের কাছে জিম্মি হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে এ ধরনের আত্মঘাতী অবস্থান প্রতিরোধের আহ্বানও জানান টিআইবির নির্বাহী পরিচালক।
অভিযোগের নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হলে একদিকে যেমন এই অনিয়ম প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করবে, অন্যদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে গভীরতর আস্থাহীনতার শিকার হবে বলে মন্তব্য করেন ড. জামান।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০১৯
এসকেবি/এইচএ/