বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে মন্ত্রীদের জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য দিদারুল আলমের এক প্রশ্নের উত্তরে প্রতিমন্ত্রী একথা জানান। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী বলেন, বর্তমানে দেশে ড্রোনের সংখ্যা নিরূপিত হয়নি। সমগ্র বিশ্বে ড্রোন একটি নতুন বিষয়। বিশ্বের অন্য দেশের মতো ড্রোন পরিচালনা ও আমদানির বিষয়ে সুস্পষ্ট নীতিমালা প্রস্তুতের লক্ষ্যে বেসামারিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য মন্ত্রণালয় ও দপ্তর/সংস্থা কাজ করছে। নীতিমালা প্রকাশের পর রাষ্ট্রীয়ভাবে সরকারের কাছে ড্রোন সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য সংরক্ষিত থাকবে বলে আশা করা যায়।
তিনি বলেন, সম্প্রতি দেখা যায়, কিছু উৎসাহী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান বিনা অনুমতিতে বাংলাদেশের আকাশসীমায় আনম্যান্ড এরিয়েল ভেহিক্যাল সিস্টেম (ইউএভি/ইউএএস), রিমোট কন্ট্রোল প্লেন অথবা খেলনা প্লেন প্রভৃতি উড্ডয়ন পরিচালনা করছে। এসব অনুমোদিত উড্ডয়নের ফলে নিয়মিত উড্ডয়নকারী বিভিন্ন অনুমোদিত দেশি-বিদেশি প্লেন, হেলিকপ্টার ও দ্রুতগতি সম্পন্ন সামরিক বিমানের সঙ্গে আকস্মিক দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
বাংলাদেশে আনম্যান্ড ভেহিক্যাল সিস্টেম (ইউএভি/ইউএএস) বা রিমোট দিয়ে পরিচালিত প্লেন বা ড্রোনের ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে। এ কারণে ইউএভি/ইউএএস পরিচালনার ক্ষেত্রে একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালার প্রয়োজনীয়তা বেবিচক তথা সরকার অনুভব করেছে। সে মোতাবেক ড্রোন নীতিমালা প্রস্তুতের লক্ষ্যে মন্ত্রণালয় ও সংস্থার কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত কমিটি কাজ করছে, যা বর্তমানে চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। ওই নীতিমালায় ড্রোনের আকার, রেজিস্ট্রেশন ও উড্ডয়ন সংক্রান্ত তথ্যাদিসহ অন্যান্য বিষয়ও অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৯
এসকে/এএ