বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আলোকে আইন সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা’ শীর্ষক একটি আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইনমন্ত্রী বলেন, আজকে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারীর ক্ষমতায়ন প্রসঙ্গে অনেক সোচ্চার এবং নারীর ক্ষমতায়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।
মন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার সরকারের অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে বাংলাদেশে ধর্মীয় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বাস্তবায়ন করা। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে যে চেতনাকে নষ্ট করা হয়েছিল, সেটা ফিরিয়ে আনা। এই দেশটা ধর্মনিরপেক্ষ। এই দেশটা মুসলমানদের জন্য যেমন হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টানদের জন্যও তেমন। আমরা সবাই বাঙালি। আমাদের সবার পরিচয় আমরা বাংলাদেশি।
পেনাল কোডের সাজা অপ্রতুল উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আমরা কেউ চাইনি রামুর ঘটনা ঘটুক। আমরা কেউই চাইনি নাসিরনগরের ঘটনা ঘটুক। তবে এই ঘটনাগুলো ঘটেছে। এমন ঘটনার শাস্তি হিসেবে দুই বছর সাজার কথা বলা আছে। নিশ্চয় এই সাজা অপ্রতুল। সাজা বাড়ানোর কথা আমরা চিন্তা করছি।
সাক্ষ্য আইন প্রসঙ্গে আনিসুল হক বলেন, সাক্ষ্য আইন নিয়ে গত সপ্তাহে আমরা বৈঠক করেছি। সাক্ষ্য আইনের আমূল পরিবর্তন না হোক, কিছু পরিবর্তন করা আবশ্যক হয়ে পড়েছে। ইতোমধ্যে সাক্ষ্য আইন পরিবর্তন লক্ষ্যে প্রথম ড্রাফটের আলোচনা শেষ হয়েছে। আমার আশা ডিসেম্বরের সংসদ অধিবেশনে পূর্ণাঙ্গ আইনের খসড়া সংসদে উপস্থাপন করতে পারব। এছাড়া নারী ও শিশু নির্যাতন আইন সংশোধন করার বিষয়ে আমরা চিন্তাভাবনা করছি।
আলোচনা সভার শুরুতেই সূচনা বক্তব্য রাখেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির।
লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক।
মূল প্রবন্ধের ওপর আলোচনা করেন অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মাহবুবে আলম এবং বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত, অ্যাডভোকেট খন্দকার আব্দুল মান্নান, অ্যাডভোকেট আনোয়ারা শাহজাহান, অ্যাডভোকেট বিমল সমদ্দার, ব্যারিস্টার উপমা সাহা প্রমুখ।
আলোচনা সভাটিতে সভাপতিত্ব করেন একাত্তরের ঘাতল দালাল নির্মূল কমিটির উপদেষ্টা বিচারপতি শামসুল হুদা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৯
আরকেআর/টিএ