বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাত ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- নয়াপড়া রেজিস্ট্রার্ড রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ৮৩৮ নম্বর বাসার একনম্বর কক্ষের জমির আহম্মদের ছেলে মো. আব্দুল করিম (২৪) ও একই ক্যাম্পের ৮৮০ নম্বর বাসার ১/২ নম্বর বাসার সৈয়দ হোসেনের ছেলে নেছার আহম্মদ প্রকাশ নেছার ডাকাত।
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ বাংলানিউজকে বলেন, যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক হত্যা মামলার কয়েকজন আসামি জাদিমুরা রোহিঙ্গা শিবিরের শিশুবান্ধব কেন্দ্রের পেছনে পাহাড়ের উপরে পানির ট্যাংকের পাশে অবস্থান করছে- এমন গোপন খবরে সেখানে অভিযান চালানো হয়।
কিন্তু উপস্থিত টের পেয়েই অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকে। এতে ঘটনাস্থলে এএসআই কাজী সাইফ উদ্দিন, কনস্টেবল নাবিল ও রবিউল ইসলাম আহত হন।
এ সময় আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি ছুড়ে বলে জানান তিনি।
ওসি প্রদীপ দাশ বলেন, এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে ২৮ রাউন্ড গুলি বিনিময় হয়েছে। এক পর্যায়ে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থলে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দুইজনকে পাওয়া যায়। আশপাশে তল্লাশি চালানো হলে ঘটনাস্থল থেকে দুইটি দেশীয় তৈরি বন্দুক, সাত রাউন্ড তাজা কার্তুজ এবং ০৯ রাউন্ড কার্তুজের খোসা পাওয়া গেছে।
তিনি জানান, গুলিবিদ্ধ দুইজনকে প্রথমে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে সেখান থেকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে তাদের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
গত ২২ আগস্ট রাতে হ্নীলার জাদিমুরা এলাকায় বাড়ির সামনে থেকে নিয়ে গিয়ে যুবলীগ নেতা ওমর ফারুককে হত্যা করে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা। এ মামলার আসামিদের মধ্যে দুর্ধর্ষ ডাকাত নূর মোহাম্মদসহ তিন সন্ত্রাসী পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছে। এ নিয়ে ওই মামলার পাঁচ আসামি বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৪৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৯
এসবি/এমএ