সরেজমিনে দেখা যায়, আগত রোগীর স্বজনদের পাশাপাশি হাসপাতালে কর্মরত স্টাফ ও আশপাশের দোকানদারেরা প্রধান ফটকটির সামনে সারাদিনই পরিত্যক্ত জিনিসপত্র ফেলে যাচ্ছেন। চিকিৎসা নিতে এসে প্রবেশপথেই নাকে টিপে ধরতে হচ্ছে সাধারণ মানুষজনকে।
স্থানীয়রা বাংলানিউজকে জানান, শুধু রোগীর স্বজন ও আশপাশের ব্যবসায়ীরাই নন, হাসপাতালে কর্মরতরাও এখানে এসে ময়লা-আবর্জনা ফেলে যাচ্ছেন। অথচ পৌরসভা অথবা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে পরিষ্কার করার কোনো উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। জেলার প্রধান স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের সামনে এমন বেহাল অবস্থা অত্যন্ত উদ্বেগজনক বলে মন্তব্য করেন তারা। গাইনি ওয়ার্ডে ৩ দিন ধরে চিকিৎসাধীন বাহুবল উপজেলার নাসিমা খাতুনের স্বামী আব্দুল কাদির বাংলানিউজকে বলেন, বাইরে থেকে ওষুধ ও খাবার নিতে এলে এখানে এসে নাক চেপে ধরতে হয়। বার বার এই দুর্গন্ধের স্বীকার হতে হচ্ছে। হাসপাতাল থেকে বের হওয়া এবং প্রবেশের সময় রীতিমতো বমি হওয়ার উপক্রম হয়। এ ব্যাপারে স্থায়ী সমাধানের দাবি জানিয়েছেন তিনি।
হবিগঞ্জের সামাজিক সংগঠন ‘দুই শূন্য শূন্য ছয়’ এর সমন্বয়ক খায়রুল আলম শুভ বাংলানিউজকে বলেন, লোকজন হাসপাতালে সেবা নিতে এসে প্রবেশপথেই দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে উঠছেন। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের নিরব ভূমিকায় থাকাটা অত্যন্ত দুঃখজনক।
হবিগঞ্জ আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. রথীন্দ্র চন্দ্র দেব বাংলানিউজকে বলেন, পৌরসভার পক্ষ থেকে প্রতিদিন এই জায়গাটি পরিষ্কার করার কথা থাকলেও তা করা হচ্ছে না। লিখিতভাবে পৌরসভাকে জানানোর পরও কাজ না হওয়ায় তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৩৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৯
আরএ