বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে একদিন বয়সী এ শিশুকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বরিশাল জেলার মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার চরশেফালী গ্রামের এক দম্পতির ঘরে জন্ম নেয় শিশুটি।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, শিশুটি ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর দেখা যায়, সে দেখতে অন্য সব স্বাভাবিক শিশুর মতো নয়। এরপর অভিভাবকরা দুই কেজি ওজনের শিশুটিকে শেবাচিম হাসপাতালে নিয়ে আসে।
হাত-পা সবকিছু থাকলেও পুরো শরীরে সাদা একটি আবরণ রয়েছে। যার মাঝে মাঝে লাল দাগ রয়েছে। চোখ দু’টিও তার ভেতরেই আটকা রয়েছে। যা দেখে কেউ কেউ বিরলতম চর্মরোগও বলছে।
চিকিৎসকরা শরীরের ওপর থাকা আবরণটি নরম করার জন্য ওষুধ দিয়েছেন, পাশাপাশি শিশুটির সার্বক্ষণিক খোঁজ-খবর নিচ্ছেন তারা। তবে শিশুটির ভবিষ্যৎ নিয়ে এ মুহূর্তে কিছু বলতে চাননি চিকিৎসকরা।
নবজাতক ওয়ার্ডের চিকিৎসকদের মতে, শিশুটি হারলেকুইন ইকথায়োসিস (Harlequin ichthyosis) আক্রান্ত, সেজন্য তার ত্বক অন্য শিশুদের মতো স্বাভাবিক নয়। এ ধরনের অসুস্থতায় জন্ম নেওয়া শিশুর শরীর পাতলা চামড়ার আবরণে ঢেকে থাকে। অপুষ্টি, শ্বাসকষ্টজনিত, ইনফেকশনসহ একাধিক সমস্যা নিয়ে এই শিশুরা ভূমিষ্ঠ হয়।
শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগের সাবেক প্রধান ডা. সৈয়দ জাহিদ হোসেন বাংলানিউজকে জানান, শিশুটি বিরল জিনগত সমস্যায় আক্রান্ত। তবে এ রোগটি যে পরিবারের কারও আগে হয়েছিল এমনও নয়। এটি খুবই বিরল একটি রোগ বলা চলে। দীর্ঘ কয়েকযুগ মিলিয়ে ৭-৮টির ওপরে এমন শিশু দেখিনি। কয়েক লাখে এ ধরনের একটি শিশুর দেখা মিলতে পারে।
শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি হওয়া শিশুটির ছবি দেখে তার ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে ডা. সৈয়দ জাহিদ হোসেন বলেন, চিকিৎসা বিজ্ঞানে শিশুটির শরীরে যা হয়েছে তাকে হারলেকুইন ইকথায়োসিস বলে। স্বাভাবিক মানুষের চামড়া যেভাবে তৈরি হয়, শিশুটির ক্ষেত্রে তা হয়নি। এক কথায় এ ধরনের শরীরে চামড়া তৈরি না হওয়ায় দেখতে এমনটা।
বাংলাদেশ সময়: ১১২২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৯
এমএস/এইচএ/