সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ওই কিশোরীর ভাই শরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে চার জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত আরও দু’জনকে আসামি করে কামারখন্দ থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার পরপরই অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত দুই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতাররা হলেন- একই উপজেলার কুটিরচর গ্রামের দুলাল শেখের ছেলে আশরাফুল ইসলাম (২০) ও একই গ্রামের মোকাদ্দেস আলীর ছেলে নাইমুল হক (২০)।
নির্যাতনের শিকার ওই কিশোরী একই জেলার উল্লাপাড়া উপজেলার বাসিন্দা ও স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালের নার্স।
কামারখন্দ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) পলাশ চন্দ্র দেব বাংলানিউজকে জানান, অভিযুক্ত আশরাফুল ওই কিশোরী নার্সের পূর্ব পরিচিত ছিলেন। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাতে মেয়েটি উল্লাপাড়া থেকে সঙ্গে নিয়ে নিজ বাড়ি কুটিরচর এলাকার উদ্দেশে রওয়া দেয়। পথে নিজ এলাকার একটি ইউক্যালিপটাস গাছের বাগানের কাছে পৌঁছালে আশরাফুল তার অপর তিন বন্ধুকে মোবাইল ফোন করে ডেকে নিয়ে আসে। পরে তারা মেয়েটিকে একটি নির্মাণাধীন প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা প্রাচীরের কাছে নিয়ে গিয়ে রাতভর পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ভোরে ওই এলাকাতেই মেয়েটিকে ফেলে তারা চার বন্ধু পালিয়ে যায়। সকালে স্থানীয়রা বিষয়টি জানতে পেরে থানায় খবর দেয়। পরে ঘটনাস্থল থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় মেয়েটির ভাই শরিফুল বাদী হয়ে সোমবার দুপুরে অভিযুক্ত চার জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা দু’জনকে আসামি করে কামারখন্দ থানায় মামলা দায়ের করেন।
কামারখন্দ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিবুল ইসলাম জানান, মামলার পর অভিযুক্ত দুজনকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বাকী আসামীদের গ্রেফতারে চেষ্টা অব্যাহত আছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৯
এসআরএস