সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টার দিকে জেলা নির্বাচন কার্যালয় থেকে তাদের আটক করা হয়।
এদের মধ্যে একজন হচ্ছেন- ইসির অফিস সহায়ক জয়নাল আবেদীন।
জেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্র জানায়, সোমবার সকাল থেকে ওই কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। পরে রাতে তাকেসহ আরও দুইজনকে আটক করা হয়।
গত দুই দিন ধরে আটকদের নজরদারিতে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মুনীর হোসাইন খান।
বাংলানিউজকে তিনি বলেন, তিনজনকে আটক করা হয়েছে। পুলিশকে খবর দেওয়ার পাশাপাশি মামলার প্রস্তুতি চলছে।
জালিয়াতির মাধ্যমে লাকী নাম দিয়ে রমজান বিবি নামে এক রোহিঙ্গা নারী হাটহাজারীর বাসিন্দা উল্লেখ করে এনআইডি করিয়ে নেয়। পরবর্তীতে স্মার্ট কার্ড উত্তোলনের জন্য ওই রোহিঙ্গা নারী ১৮ আগস্ট জেলা নির্বাচন অফিসে যান। সন্দেহ হলে ইসির কর্মকর্তারা হাটহাজারী নির্বাচন কার্যালয় এ বিষয়ে খোঁজখবর নিলে জানা যায়, লাকী নামে কোনো ভোটারের নথি তাদের অফিসে নেই। তবে তার তথ্য সার্ভারে ছিল।
এরপর রমজান বিবিকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। হাটহাজারী থানা নির্বাচন কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম এ ঘটনায় নগরের কোতোয়ালী থানায় মামলা করেন। এরপর ইসিসহ সরকারি একাধিক সংস্থা রোহিঙ্গারা কীভাবে ভোটার হচ্ছেন সেটি অনুসন্ধানে মাঠে নামে।
বাংলাদেশ সময়: ০০৫১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৯
এসইউ/টিসি