তিনি বলেছেন, আজকের সভায় সাম্প্রতিক সময়ে পূজামণ্ডপ ও প্রতিমা ভাঙচুরের বিষয়টি নিয়ে চুলছেঁড়া বিশ্লেষণ করা হয়েছে। সব ঘটনা উদ্দেশ্য প্রণোদিত না।
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে সার্বিক নিরাপত্তা সংক্রান্ত সভা শেষে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সারাদেশে এবার এক হাজারেরও বেশি পূজামণ্ডপ বাড়বে। এ বছর ৩১ হাজার ১০০ পূজামণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে ঢাকায় ২৩৭টি পূজামণ্ডপ স্থাপন করা হবে। পূজামণ্ডপের সার্বিক নিরাপত্তায় সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাড়ে তিন লাখ সদস্য নিয়োজিত থাকবেন।
তিনি বলেন, আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজায় মণ্ডপগুলোতে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দিতে আইনশৃঙ্খল বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পূজামণ্ডপের নিরাপত্তায় প্রয়োজনীয় সংখ্যক পুলিশ, র্যাব, গোয়েন্দা সংন্থাসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর থাকবে। আমরা বলেছি, পূজামণ্ডপে যেখানে বিদ্যুৎ থাকবে, সেখানে যাতে সার্বক্ষণিক সিসিটিভি থাকে।
পূজামণ্ডপ ও প্রতিমা ভাঙচুর নিয়ে প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এসব ঘটনার মধ্যে সবকিছু উদ্দেশ্যমূলক, তা নয়। এখানে নেতৃত্ব নিয়েও মতবিরোধ রয়েছে। যেগুলো উদ্দেশ্যমূলক, সেসবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি। যাতে এসব ঘটনা আর না ঘটে। কিছু কিছু ঘটনা নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির কারণে হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, প্রত্যেক মণ্ডপে কমিটি থাকবে। তারা পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করবে। এবার নারী স্বেচ্ছাসেবকও থাকবে। আগুনের ঘটনা ঘটলে রেসকিউ ও ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা এগিয়ে আসবেন।
মণ্ডপে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিরবিচ্ছিন্ন থাকবে জানিয়ে তিনি বলের, পূজার সময় নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ দিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মণ্ডপের আশপাশে বখাটেরা যাতে নারীদের কোনো ধরনের উত্যক্ত করতে না পারে, তাদের রোধে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত থাকবে। বিভাগীয় পর্যায়ে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থাকবে। সেখান থেকে সব মনিটরিং করা হবে। এছাড়া ৯৯৯ সার্ভিস ভালো রেজাল্ট দিচ্ছে। পূজায়ও এটি কাজে লাগবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৯
জিসিজি/টিএ