শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) ভোর রাত তিনটার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার শোনাশুর নামক স্থানে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। গোপালগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের কর্মী ও পুলিশ হতাহতদের উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
ঘটনাস্থলে নিহতরা হলেন- নারায়ণ হাওলাদারের ছেলে বিজন হাওলাদার (২৫), নুর ইসলামের ছেলে রাসেল (২৪) এবং যশোরথ মন্ডলের ছেলে কমল মণ্ডল (২৫)। তারা সবাই পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলার বিভিন্ন স্থানের বাসিন্দা।
ফরিদপুরের ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার ওসি আতাউর রহমান ও গোপালগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক মো. জানে আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
গোপালগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক মো. জানে আলম জানান, রাত তিনটার দিকে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা ইমাদ পরিবহনের পিরোজপুরের নাজরপুরগামী একটি নৈশ কোচ (ঢাকা মেট্রো-ব-১৫-৩৮৫৫) ঘটনাস্থলে পণ্যবাহী একটি দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের (ঢাকা মেট্রো-ট-২০-৭০৮৪) পিছনে এসে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই বাসের তিন যাত্রী নিহত ও আরও ১২ যাত্রী আহত হন। এদের মধ্যে কয়েক জনের অবস্থা গুরুতর।
মারাত্মক আহত অবস্থায় গোপালগঞ্জ পুলিশের লাইন্সের এসআই আব্দুর রশিদকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে তিনি সেখানে মারা যান।
বাকি গুরুতর আহতদের গোপালগঞ্জ ২৫০শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৭০৫, সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৯
জেআইএম