চুরি যাওয়া ট্রান্সফরমারগুলো উদ্ধার করা হলেও চুরির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কোনো প্রকার বিভাগীয় বা আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এমনকি সাক্ষী প্রমাণ দিয়ে যারা এ চুরি যাওয়া প্রায় ৩ লাখ টাকার মালামাল উদ্ধারে সহযোগিতা করেছেন তাদেরই করা হচ্ছে নানাভাবে হয়রানি।
বিমানবন্দর সূত্রে জানা যায়, গত আগস্ট মাসে সৈয়দপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়ের লাইটিং সিস্টেমের জন্য নয়টি ট্রান্সফরমার আনা হয়। এগুলো বিমানবন্দরের পাওয়ার হাউজ স্টোরে ইঞ্জিন ড্রাইভার ইব্রাহিম খলিলের তত্ত্বাবধানে ছিল। ৮ আগস্ট দেখা যায় পাওয়ার হাউজে ট্রান্সফরমাগুলো নেই। খোঁজ নিয়ে কোথাও সেগুলো পাওয়া যাচ্ছিল না।
পাওয়ার হাউজের ইঞ্জিন হেলপার শাহ আলম বাংলানিউজকে জানায়, ট্রান্সফরমাগুলো ৭ আগস্ট সকালে ইঞ্জিন ড্রাইভার ইব্রাহিম খলিল সৈয়দপুর শহরের শহীদ ডা. জিকরুল হক রোডস্থ একটি ফুল দোকানে বিক্রি করেন। এমন তথ্যের ভিত্তিতে সৈয়দপুর বিমানবন্দরের ম্যানেজার সুশান্ত দত্ত নিজে গিয়ে ওই ফুল দোকান থেকে ট্রান্সফরমাগুলো উদ্ধার করেন। কিন্তু এ ব্যাপারে দীর্ঘদিনেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বা বিমানের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষসহ প্রশাসনের কাউকেই কোনো তথ্য জানায়নি। এমনকি বিষয়টি মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে সমঝোতা করা হচ্ছে বলে একাধিক সূত্রের অভিযোগ।
এ ব্যাপারে ইঞ্জিন ড্রাইভার ইব্রাহিম খলিলের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলেন তিনি বাংলানিউজকে বলেন, এ বিষয়ে বিমানবন্দরের ম্যানেজার ভালো বলতে পারবেন।
বিমানবন্দর ম্যানেজার সুশান্ত দত্তের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি বাংলানিউজকে জানান, এ ব্যাপারে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি করে হেড অফিসে পাঠানো হয়েছে।
চুরি ও উদ্ধারের বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বা প্রশাসনকে কেন জানানো হয়নি এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটি আমাদের বিভাগীয় ব্যাপার তাই বাইরে জানানোর প্রয়োজন মনে করিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৯
এনটি