রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) সকাল পৌনে ১০টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহত যাত্রীদের উদ্ধার করে শিমুলিয়া প্রান্তে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
আহত যাত্রীরা হলেন- হাবিবুর রহমান (২৭), ফাতেমা আক্তার (২০) ও মোশাররফ হোসেন (২৮)। তাদের সবার বাড়ি শিবচরের মাদবেরচর এলাকায়।
ঘাটের একাধিক সূত্রে জানা গেছে, সকালে শিমুলিয়া থেকে চালক কাওসারের একটি স্পিডবোট কাঁঠালবাড়ীর উদ্দেশে রওনা দেয়। অপরদিকে কাঁঠালবাড়ী থেকে আনোয়ার নামের আরেক চালকের একটি বোট যাত্রী নিয়ে শিমুলিয়ার উদ্দেশে রওনা হয়। সকাল পৌনে ১০টার দিকে স্পিডবোট দু’টি চায়না চ্যানেলে এলে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
এসময় একটি বোট দুমড়ে-মুচড়ে তলিয়ে যায়। অপরটি স্রোতে ভেসে যায়। উভয় বোটের যাত্রীরা পানিতে ডুবে গেলে আশপাশের ট্রলার ও মাছ ধরার নৌকা এসে তাদের উদ্ধার করে। এ দুর্ঘটনায় উভয় বোটের তিন জন যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছে।
তবে কেউ নিঁখোজ বা নিহত হয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
নৌ পুলিশের একটি সূত্র জানায়, চ্যানেল মুখে ড্রেজারের পাইপের কারণে স্পিডবোট দু’টি একপাশে চেপে আসতে গিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। যাত্রীদের উদ্ধার করা হয়েছে।
তবে স্থানীয় একাধিক সূত্র জানিয়েছে, যাত্রীদের কেউ নিঁখোজ থাকতে পারে। কেননা, দুর্ঘটনার ফলে একটি বোট দুমড়ে-মুচড়ে গেছে। আহত হয়ে তলিয়ে যাওয়াটা স্বাভাবিক।
বিআইডব্লিউটিসি'র কাঁঠালবাড়ী লঞ্চ ঘাটের টার্মিনাল ইন্সপেক্টর আক্তার হোসেন বলেন, উভয় ঘাট থেকে ছেড়ে আসা দু’টি বোটের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়েছে। এতে কয়েক যাত্রী আহত হলেও তেমন গুরুতর নয় বলে জেনেছি। সব যাত্রীদেরই উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। কেউ নিঁখোজ নেই।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৫ সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৯
আরএ