রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর উত্তরা থেকে বিশেষ এই উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে ডিএনসিসি। আনুষ্ঠানিকভাবে এর উদ্বোধন করেন ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম।
উচ্ছেদের প্রথম দিনে উত্তরার সোনারগাঁও জনপথ থেকে শুরু করে, গরীবে নেওয়াজ অ্যাভিনিউ, রবীন্দ্র সরণি এবং মাসকট প্লাজার পেছনে ৩৫ নম্বর সড়কের ফুটপাত ও সড়ক থেকে সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। এসময় প্রায় তিন শতাধিক অস্থায়ী দোকান, শেড, সিঁড়ি ইত্যাদি উচ্ছেদ করে জনগণের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।
অভিযানে সরকারি কাজে বাধা দেওয়ায় একজনকে তিন মাসের কারাদণ্ড, অবৈধভাবে ফুটপাত দখল করে ব্যবসা করায় একজনকে সাত দিনের কারাদণ্ড এবং দুইটি প্রতিষ্ঠানকে তিন লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ‘হাংরি ডাক’কে দুই লাখ টাকা এবং ‘খাজানা’কে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
উচ্ছেদ অভিযানে ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, অনেকে ফুটপাত দখল করে অবৈধ বাণিজ্য করছে, বিভিন্ন ধরনের রাজনৈতিক অফিস নির্মাণ করেছে। যদিও সিটি করপোরেশন সুন্দর সুন্দর রাস্তা তৈরি করে, পথচারীদের জন্য ফুটপাত তৈরি করে, কিন্তু ফুটপাত দখল করে বাণিজ্য করায় জনগণ ফুটপাত ব্যবহার করতে পারেন না। তাই তারা ফুটপাত ছেড়ে রাস্তায় নেমে আসেন, ফুটপাতে কোনোরকম বাণিজ্য চলবে না, কোনোরকম রাজনৈতিক কার্যালয় থাকতে পারবে না। আমি সবাইকে বিনীতভাবে অনুরোধ করছি আপনারা আমাদের ফুটপাতগুলো মুক্ত করে দেবেন। মানুষ ফুটপাত দিয়ে হাঁটলে রাস্তায় গাড়ি নির্বিঘ্নে চলতে পারবে, কোনো যানজট থাকবে না।
আজ উত্তরা থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে ঢাকা উত্তরের সব জায়গায় ডিএনসিসি অভিযান পরিচালনা করবে। আমরা ফুটপাতে কোনোরকম অবৈধ দখল দেখতে চাই না। এখন সময় হয়েছে ফুটপাতগুলো জনগণকে বুঝিয়ে দেওয়ার, বলেন মেয়র।
ডিএনসিসি সূত্রে জানা যায়, উচ্ছেদের উপর সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) পর্যালোচনা অনুষ্ঠিত হবে। পরের দিন অর্থ্যাৎ মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) থেকে আবারও উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
অভিযানে অন্যদের মধ্যে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবদুল হাই, ওয়ার্ড কাউন্সিলর আফসার উদ্দিন খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৯
এসএইচএস/জেডএস