রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) রাতে ঢাকা-শেরপুর মহাসড়কের উপজেলার গনপদ্দী ইউনিয়নের চিথলিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- শেরপুর সদর উপজেলার খুনুয়া এলাকার অটোরিকশার চালক বিল্লাল হোসেন (৪০), অটোরিকশার যাত্রী হাতিমারা এলাকার হাবিবুর রহমান (৫৫) ও অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তি মারা গেছেন।
আহতরা হলেন- অটোরিকশার যাত্রী জামালপুরের কাজিয়ারচর এলাকার মেহেদী হাসান (২২), নকলা উপজেলার চন্দ্রকোনা ইউনিয়নের রামপুর এলাকার দুদু মিয়ার ছেলে জুয়েল মিয়া (২৮), হানিফ উদ্দিনের মেয়ে হালিমা বেগম (৩৫)। তাদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
যাত্রী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা শেরপুরগামী যাত্রীবাহী বাস রোববার রাতে ঢাকা-শেরপুর মহাসড়কের নকলা উপজেলার গনপদ্দী ইউনয়নের চিথলিয়া এলাকায় পৌঁছালে নকলাগামী সিএনজিচালিত অটোরিকশার সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। একে সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালকসহ সব যাত্রী গুরুতর আহত হয়। এসময় সবাইকে উদ্ধার করে নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বিল্লাল হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন। গুরুতর আহত ৫ যাত্রীকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজে হাসপাতালে পাঠানো হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাবিবুর রহমান ও অজ্ঞাতনামা একযাত্রী মারা যান। অন্য এক যাত্রী জুয়েল মিয়াকে নকলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দুর্ঘটনা কবলিত বাস ও অটোরিকশাটি নকলা থানার হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
খবর পেয়ে নকলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাহিদুর রহমান ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সারোয়ার আলম তালুকদার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হােসেন শাহ বাংলানিউজকে বলেন, দুর্ঘটনায় প্রাথমিকভাবে একজনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত হয়েছি। তবে আরও দু’জন মারা যাওয়ার খবর শুনেছি।
বাংলাদেশ সময়: ০০৩৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৯
এসএইচ