লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ভাউলাগঞ্জ কলেজের অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান গতবছরের ১৪ জানুয়ারি যোগদান করার পর থেকে কলেজে একক আধিপত্য বিস্তার করে চলেছে। কমিটির লোকদের কাছে কোনো পরামর্শ বা রেজ্যুলেশন ছাড়াই বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্ণীতি করে যাচ্ছেন অধ্যক্ষ।
২০১৯ সালে এইচএসসি ভর্তির সময় অতিরিক্ত ফি আদায় করা হয়েছে। কলেজের আয় ব্যয়ের কোনো হিসেব গভর্নিং বডির সদস্যদের মতামত বা রেজ্যুলেশন ছাড়াই একক সিদ্ধান্তেই অর্থ ব্যয় করেছেন, যাহার কোনো ভাউচার ব্যবহার করা হয়নি। গভর্নিং বডির সদস্য কলেজের সমস্যা সম্পর্কে জানতে চাইলে অধ্যক্ষ তাদের বিভিন্নভাবে নিরুৎসাহিত করে থাকেন।
গভর্নিং বর্ডির অভিভাবক সদস্য নজরুল ইসলাম, খলিলুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, মিজানুর কলেজের আয়-ব্যয় হিসাব, সমস্যা ও সম্ভাবনা এবং উন্নয়ন প্রকল্পে আমাদের কোনো মতামত নেওয়ার প্রয়োজন মনে করেন না। গভর্নিং বর্ডির অভিভাবক সদস্যরা এ অধ্যক্ষের সব দুর্নীতি বা অনিয়ম দূর করে কলেজের শিক্ষার মান ও উন্নয়নের সার্বিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
একই কলেজের উপাধ্যক্ষ রহিদুল ইসলাম জানান, অধ্যক্ষের অনুপস্থিতিতে সরকারি পরিপত্র অনুযায়ী উপাধ্যক্ষ অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করবেন। কিন্তু তিনি সাতদিন কলেজে অনুপস্থিত থাকলেও কারও কাছে কোনো দায়িত্ব হস্তান্তর করেন না।
এ ব্যাপারে কলেজের অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা আমি জানিনা এবং অভিযোগের কোনো কাগজ আমি এখনো পাইনি।
এদিকে ভাউলাগঞ্জ কলেজের সভাপতি আসাদুজ্জামান আসাদের সঙ্গে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে বারবারই ফোনটি কেটে দেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৪৩০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৯
এসএইচ