সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
মৃতরা হলেন- পাঁচবিবি উপজেলার শালাইপুর গ্রামের বাড়িওয়ালা মৃত. আমজাদ আলীর ছেলে মোহাম্মদ আলী (২৪), বাঁশখুর গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে নাইম হোসেন (২২)।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেলা ১১টার দিকে শালাইপুর গ্রামের বাসিন্দা মোহাম্মদ আলীর বাড়িতে সেপটিক ট্যাংক পরিষ্কার করতে আসেন পার্শ্ববর্তী বাঁশখুর গ্রামের দুই শ্রমিক। প্রথমে শ্রমিক নাইম সেপটিক ট্যাংকে নামেন। এরপর তার কোনো সাড়া শব্দ না পাওয়ায় বাড়িওয়ালা মোহাম্মদ আলীও সেখানে নামেন। পরে তাদের দুইজনের কারও সাড়া শব্দ না পেয়ে প্রতিবেশি জাকারিয়া তাদের খোঁজ করতে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করেন। এ সময় জাকারিয়ার নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসলে তিনি চিৎকার শুরু করেন। পরে প্রতিবেশিরা জাকারিয়াকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে। এ সময় নির্মাণাধীন বাথরুমের দেওয়াল কেটে শ্রমিক নাইম ও বাড়িওয়ালা মোহাম্মদ আলীর মরদেহ উদ্ধার করে গ্রামবাসী।
জয়পুরহাট ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের উপ-সহকারী পরিচালক খন্দকার সানাউল হক বাংলানিউজকে জানান, খবর পেয়ে পাঁচবিবি ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আহত জাকারিয়াকে জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালে ভর্তি করে।
এ বিষয়ে স্থানীয় কুসুম্বা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুক্তার হোসেন মণ্ডল বাংলানিউজকে বলেন, শুধুমাত্র অসেচতনতার অভাবেই সেপটিক ট্যাংক পরিষ্কার করতে নেমে জীবন দিতে হচ্ছে অসহায় শ্রমিকদের। সচেতনতা বাড়াতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ বাড়ানো দরকার।
পাঁচবিবি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাজিবুল আলম বাংলানিউজকে জানান, এ বিষয়ে খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে। পরে সিদ্ধান্ত হলে মৃত পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতা দেওয়া হবে।
পাঁচবিবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনসুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, কোনো অভিযোগ না থাকায় মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে থানায় পৃথক দুটি ইউডি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৯ আপডেট: ১৫০০ ঘণ্টা
আরএ/এনটি