ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৩ মাঘ ১৪৩১, ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

অটোরিকশাচালকের মন মাতানো বাঁশির সুর

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৯
অটোরিকশাচালকের মন মাতানো বাঁশির সুর

ঢাকা: ওপার বাংলার সংগীতশিল্পী সুমন চট্টোপাধ্যায়ের বিখ্যাত গান ‘বাঁশুরিয়া বাজাও বাঁশি দেখিনা তোমায়, গেঁয়ো সুর ভেসে বেড়ায় শহুরে হাওয়ায়’। সুমনের গানের বাঁশুরিয়াকে দেখা না গেলেও, যাকে উদ্দেশ্য করে গাওয়া এই গান, তেমনি এক বাঁশুরিয়ার দেখা মিললো রাজধানীর ধানমন্ডিতে আপন মনে বাঁশি বাজাতে। এ যেন সাক্ষাৎ সুমনের গানের নায়ক সেই বাঁশুরিয়া। 

রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে ধানমন্ডি-২৭ নম্বরের মীনা বাজারের সামনের রাস্তার পাশে নীরব নামে একজন সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালককে বাঁশি বাজাতে দেখা যায়।

ইটকাঠ-পাথরের এই চরম ব্যস্ততার শহরে নীরবের মন মাতানো বাঁশির সুর আশ-পাশের মানুষের মনে শান্তির পরশ বুলিয়ে দেয়।

শত শত যানবাহনের হর্ণের শব্দে যখন অভ্যস্ত রাজধানীবাসী, ঠিক সে সময়ে বাঁশির এমন সুর যেন মরুভূমিতে শান্তির বৃষ্টি। তাইতো নীরবের বাঁশি শুনে অনেক পথচারীও থমকে দাঁড়ায়।

বাঁশি শুনে কিছু সময়ের জন্যে হলেও নাগরিক ক্লান্তি আর যন্ত্রণার শিকল থেকে নিজেকে মুক্ত করতে অনেকেই ভিড় করেন নীরবের পাশে।

নীরবের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তার গ্রামের বাড়ি ভোলার চরফ্যাশনের নুরাবাদ গ্রামে। তার বাবার নাম জয়নাল আবেদীন। চার বছর ধরে তিনি ঢাকায় অটোরিকশা চালান। থাকেন মোহাম্মদপুরের শেখেরটেকের একটি মেসে।

তিনি আরও জানান, তিনি শখের বশেই বাঁশি বাজান। যখন সময় পান তখনই তিনি বাঁশি বাজান। বাঁশি বাজানোটা এখন তার কাছে এক ধরনের নেশা হয়ে গেছে। যাত্রীর জন্যে অপেক্ষার সময়টুকুও তিনি বাঁশি বাজিয়ে কাটান।

ছয় ভাইবোনের মধ্যে নীরব ছোট। সারাদিন পরিশ্রম করে যা আয় করেন, নিজের জন্য কিছু রেখে বাকিটা বাবা-মায়ের কাছে পাঠিয়ে দেন। এখনও বিয়ে করেননি নীরব। তবে, ২০২০ সালের শেষের দিকে বাবা-মায়ের পছন্দের যেকোনো মেয়েকে বিয়ে করবেন বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১২০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৯
আরকেআর/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।