মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্র পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
জি কে শামীম সচিবালয়, র্যাব হেড কোয়ার্টারসহ বড় বড় ১৭টি প্রকল্পে প্রায় তিন হাজার কোটি টাকার ঠিকাদারি কাজ করছেন বলে গণমাধ্যমের খবরে এসেছে।
এ প্রসঙ্গে গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, গণমাধ্যমে যে বিষয়গুলোর এসেছে, সেগুলোর আলোকে আমিও খতিয়ে দেখছি। যে প্রক্রিয়ায় তিনি ঠিকাদারি কাজ পেয়েছেন সেটা নিয়মের অধীনে ছিল নাকি নিয়মের ব্যত্যয় ঘটিয়ে কিছু করা হয়েছিল- সেগুলো আমরা খতিয়ে দেখছি।
গণপূর্ত অধিদফতরের কর্মকর্তাদের টাকা দিয়ে জি কে শামীম কাজ নিতেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ প্রসঙ্গে রেজাউল করিম বলেন, বিষয়টি তদন্তাধীন। তদন্ত প্রতিবেদন আসার পরেই এ বিষয়ে মন্তব্য করা শ্রেয় হবে।
সচিবালয়সহ অন্য সরকারি প্রকল্পের কাজ পেয়েছেন জি কে শামীম- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মন্ত্রী বলেন, তিনি র্যাবের হেড কোয়ার্টারেরও ঠিকাদার। কীভাবে কাজগুলো হয়েছে, নিয়মের ব্যত্যয় হয়েছে কি-না বা কীভাবে হচ্ছে, সেগুলো আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। বিষয়টি তদন্তাধীন, তদন্তেই সব তথ্য-উপাত্ত বেরিয়ে আসবে।
মন্ত্রণালয় থেকে তদন্ত কমিটি করা হবে কি না- এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, আমরা আমাদের মতো করে বিষয়গুলো গুরুত্বের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছি। একটি তদন্ত চলা অবস্থায় আরেকটি তদন্ত আইনসিদ্ধ নয়।
এর আগে, গণমাধ্যম কেন্দ্র সম্প্রসারণের জন্য প্রকৌশলীকে প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা দেন গণপূর্তমন্ত্রী।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন সচিবালয়ে কর্মরত সংবাদিকদের সংগঠন বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের (বিএসআরএফ) সভাপতি তপন বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদ প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৯
এমআইএইচ/একে