মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে অভিযান শেষে র্যাব-৩ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শাফিউল্লাহ বুলবুল সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, এনামুল হক ওরফে এনু ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের ক্যাসিনো ব্যবসার অংশীদার ছিলেন এবং রূপন ভূঁইয়া মানিলন্ডারিংয়ের সঙ্গে জড়িত।
‘আমাদের কাছে গোয়েন্দা তথ্য ছিলো- ক্যাসিনোর অবৈধ টাকা রাখার জন্য তারা পাঁচটি ভল্ট ভাড়া নিয়েছিলেন। আর ভল্টগুলো এই বাড়িতে রাখা হয়েছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) মধ্য রাত থেকে আমরা এখানে অভিযান পরিচালনা করি। বাড়িটির দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় অভিযান চালিয়ে আমরা তিনটি ভল্ট পেয়েছি। ’
র্যাব-৩ এর সিও বলেন, ভল্ট জব্দের পর আমরা ম্যাজিস্ট্রেট এনে ভল্টগুলো খুলেছি। তিনটি ভল্টে এক কোটি ৫ লাখ টাকা পাওয়া যায়। আর প্রায় ৪ কোটি টাকা মূল্যের ৭৩০ ভরি স্বর্ণ পাওয়া যায়।
‘এনামুল ক্যাসিনোর অবৈধ টাকা ভোল্টে রাখতেন। তবে টাকা ভল্টের ভেতরে বেশি জায়গা নেয় বলে, সেই টাকাকে স্বর্ণে কনভার্ট করে ফেলতেন। এছাড়া এনামুলের রাজধানীতে বিভিন্ন জায়গায় ১৫টি বাড়ি আছে। ’
তিনি বলেন, অভিযানে আমরা ৫টি অস্ত্র উদ্ধার করেছি। এই অস্ত্রগুলো দিয়ে এই দুই ভাই স্থানীয় বাসিন্দাদের ভয়ভীতি দেখিয়ে নানা অপরাধ করতেন। অভিযান পরিচালনার আগে রূপন পালিয়ে যান।
‘আর অভিযানে স্থানীয় লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পেরেছি- এনামুল ১৫ দিন আগে থাইল্যান্ডে পালিয়ে গেছেন। ৫ টি ভল্টের মধ্যে ৩ টির সন্ধান এখানে পেয়েছি। আর একটির সন্ধান নারিন্দার একটি বাড়িতে পেয়েছি। আমাদের টিম এখন সেখানেও অভিযান চালিয়েছে। ’
র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, নারিন্দার বাড়িতেও ভল্টের সন্ধান পেয়েছি আমরা। এখন ভল্ট ভেঙে টাকা গোনা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৯
এজেডএস/এমএমআই/এমএ