মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে দুর্গোৎসব উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভায় তিনি এ আশ্বাস দেন।
জেলা প্রশাসক আরও বলেন, পূজা মণ্ডপে সার্বিক অনাকাঙ্ক্ষিত যেকোনো ঘটনার জন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
এ সময় তিনি সরকারি নিয়ম অনুযায়ী বিদ্যুৎ ব্যবহার করার পাশাপাশি নিজস্বভাবে জেনারেটর বা বিকল্প ব্যবস্থা রাখার জন্য পূজা উদযাপন কমিটির নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান।
এবারে জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে জেলা ও মহানগরের প্রতিটি মণ্ডপের জন্য ৫শ কেজি করে চাল বরাদ্দসহ ৬শ ১৩টি মণ্ডপে সাড়ে তিনশ’ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ রাখা হয়েছে বলে সভা সূত্রে জানা গেছে। সভায় পূজা মণ্ডপগুলোতে দায়িত্বরত স্বেচ্ছাসেবকদের টি-শার্ট দেওয়ার বিষয়টিও জানানো হয়।
সভায় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. শহিদুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) প্রশান্ত কুমার দাসসহ উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, র্যাব, আনসার, ফায়ার সার্ভিসসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা।
বক্তব্য রাখেন জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক মানিক মুখার্জী কুণ্ডু, মহানগর পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি নারায়ণ চন্দ্র দেসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলার পূজা কমিটির প্রতিনিধিরা।
এবছর বরিশাল শহরের ৩৫ সার্বজনীন পূজা ও ব্যক্তিগত ছয়টি মণ্ডপে শারদীয় উৎসব অনুষ্ঠিত হবে।
অন্যদিকে জেলার আগৈলঝাড়ায় ১৪৭, উজিরপুরে ১১০, গৌরনদীতে ৮০, বাকেরগঞ্জ উপজেলায় ৭২, বানারীপাড়ায় ৫৮, মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলায় ২৪, বাবুগঞ্জ উপজেলায় ২৩, হিজলায় ১৪, মুলাদীতে ১০ ও বরিশাল সদর উপজেলায় ২১টিসহ ৬১৩টি মণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজার আয়োজন করা হয়েছে। গত বছরের চেয়ে এবার ১৬টি মণ্ডপে বেশি পূজা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৯
এমএস/এএটি