গ্রেফতারকৃতরা হলেন- শিবগঞ্জ উপজেলার দুলর্ভপুর ইউনিয়নের কালুপুর গ্রামের মৃত মফিজউদ্দিনের ছেলে ও কালুপুর দারুল উলুম মাদ্রাসার শিক্ষক মো. হোসাইন (২৮) ও সহায়তাকারী অভিযুক্তের বড় ভাই মাদ্রাসা পরিচালক ও একটি হজ্জ কাফেলার মালিক মো. শরিফুল ইসলাম।
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকালে মাদ্রাসা চলাকালীন এ ঘটনা ঘটলে সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাতে শিবগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন শিশুটির বাবা।
মামলা সূত্র ও শিশুর বাবা জানান, ৮ বছরের শিশু কন্যাকে দারুল উলুম মাদ্রাসায় ভর্তির পর থেকেই ওই মাদ্রাসার শিক্ষক মো. হোসাইন মাঝে মধ্যেই তার মেয়েকে আদর করে কোলে নিতেন। সম্প্রতি কয়েকদিন তার মেয়েকে ক্লাসের পাশের একটি কক্ষে নিয়ে শারীরিকভাবে হেনস্তা করেছেন। এতে মেয়েটি বাড়ি গিয়ে আর মাদ্রাসায় না পড়ার বাইনা করলেও তাতে তারা কর্ণপাত করতেন না তারা। গত ২১ সেপ্টেম্বর একইভাবে তার মেয়েকে একটি ঘরে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করলে মেয়েটি চিৎকার করে। এসময় স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে মাদ্রাসার পাশেই অভিযুক্ত শিক্ষকের বাড়ি হওয়ায় তার বড় ভাই শরিফুল ইসলাম ঘটনাস্থলে এসে বিষয়টি মিমাংসা করার কথা বলে তার সন্তানকে বাড়ি পাঠিয়ে দেন। পরে বিষয়টি তার মেয়ের কাছ থেকে জেনে এ ঘটনার বিচার চাইতে গেলে তাদের থানায় মামলা দায়ের না করা ও টাকার বিনিময়ে মিমাংসা করার জন্য চাপ দেন।
এদিকে বিষয়টি গ্রামে জানাজানি হলে শিশুটির বাবা তার পরিবার নিয়ে শিশুটির নানির বাড়ি চলে গেলে সেখানেও অভিযুক্তের ভাই শরিফুল গিয়ে মিমাংসার জন্য চাপ দেন। এর পর বিষয়টি পুলিশকে জানানো হলে পুলিশ সোমবার রাতে অভিযুক্ত ব্যক্তির ভাইকে ও পরে অভিযুক্ত শিক্ষককে আটক করে। পরে একটি মামলা দায়ের করা হয়।
এ ঘটনার প্রতিবাদে শিশুটির সহপাঠীরা বিচার দাবি করেছে এবং মাদ্রাসায় যেতে ভয় পাচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন অভিভাবক জানান, সন্তানতুল্য শিশুদের সঙ্গে শিক্ষকরা এ ধরনের আচরণ করলে তারা তাদের সন্তানদের স্কুল-মাদ্রাসায় কীভাবে পাঠাবে। অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবি করেন তারা।
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইকবাল হোসাইন জানান, বিষয়টি তাদের নজরে আসার পর পুলিশ ভুক্তভোগী পরিবারটিকে নিরাপত্তা দিয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে এবং পুলিশ এ মামলার আসামিদের গ্রেফতার করে আদালতে পাঠিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৯
আরএ